ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি আয় করেছে। এর একটি বড় অংশ এসেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পেয়েছে তারা। শুধুমাত্র আইসিসি থেকেই এক বছরে ১ হাজার ৪২ কোটি রুপি আয় করেছে বিসিসিআই, যা তাদের মোট আয়ের ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আইসিসি থেকে ভারতের তুলনায় কোনো দেশ এত অর্থ পায় না। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশগুলো বিসিসিআইয়ের তুলনায় অনেক কম অর্থ পেয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন, ছোট দলগুলোকে আরও বেশি অর্থ দেওয়া উচিত। আইসিসির নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভন বলেন, ‘ক্রিকেটের টাকাপয়সা সঠিকভাবে ভাগ হয় না। আইসিসির অনেক টাকা আছে। আমরা যদি ক্রিকেটে দুই স্তর চালু করতেও চাই, তবুও সবচেয়ে ন্যায্য বিষয় হলো সঠিক ভাগাভাগি নিশ্চিত করা। আমি বলছি না, সবাই সমান পরিমাণ টাকা পাক, তবে ন্যায্য বণ্টন জরুরি।’
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আইসিসি বোর্ড সভায় ২০২৪-২৭ চক্রের লভ্যাংশ ভাগাভাগির মডেল অনুমোদন করা হয়। সেখানে ভারতের জন্য সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর পরেই আছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ পাচ্ছে। বাকি দেশগুলো ৫ শতাংশেরও কম পেয়ে থাকে।
ভনের মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর লভ্যাংশ বাড়ানো উচিত। তিনি বলেন, ‘যদি এই দলগুলো ভালো অঙ্কের অর্থ পায়, তবে তারা খেলোয়াড়দের বেশি পারিশ্রমিক দিতে পারবে। ফলে খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।’