ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি—যে বাগরাম বিমানঘাঁটি বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রণে—তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।
মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম্যাসির স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুত্তাকি বলেন,
“আমাদের জাতীয় নীতি স্পষ্ট—আফগানিস্তানের মাটিতে কোনো বিদেশি সামরিক ঘাঁটি বা সেনা উপস্থিতি আমরা অনুমতি দিই না। ট্রাম্প এবং অন্যান্য দেশগুলোকে বুঝতে হবে যে, আমরা সম্পর্ক গড়ি কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পর্যায়ে, সামরিকভাবে নয়।”
স্বীকৃতির আহ্বান ও পররাষ্ট্রনীতির দৃষ্টিভঙ্গি
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইসলামিক আমিরাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মুত্তাকি প্রতিবেশী দেশগুলোসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,
“গত তিন বছরে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলেছি এবং কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। স্বীকৃতি পেলে সম্পর্কের এ ধারা আরও শক্তিশালী হবে।”
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চায়। “আমরা এমনকি তাদের সঙ্গেও ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই, যারা এখনো আমদের সাথে সরাসরি জড়িত নয়, যেমন পশ্চিমা দেশগুলো,
আইসিসির পরোয়ানা প্রত্যাখ্যান
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুত্তাকি বলেন,
“আমাদের নেতৃত্ব ও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আইসিসির এই পরোয়ানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইসলামিক আমিরাত কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রতি দায়বদ্ধ নয় এবং তাদের সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানে প্রযোজ্য নয়।”
ট্রাম্পের দাবি ও বিতর্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন যে, আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি বলেন,
“বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রানওয়ে আমি কখনোই হারাতে দিতাম না। কিন্তু এখন সেটি চীনের হাতে।”
তবে ইসলামিক আমিরাতের দাবি, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
- এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...