ছবি-ইসমে আজম, দোয়া কবুলের রহস্য (সংগৃহীত)
বিজ্ঞাপন
এ কারণেই ওলামায়ে কেরামের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। নিচে ইসমে আজম নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরা হলো
১. পূর্ণাঙ্গ গুণাবলির নাম
বেশিরভাগ ওলামায়ে কেরাম মনে করেন, ইসমে আজম হলো এমন নাম যা আল্লাহর সব গুণাবলির পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটায়। এটি কোনো একক নাম নয় বরং আল্লাহর গুণাবলির সারমর্ম বহনকারী নাম।
২. আর-রহমান ও আর-রহিম
একদল আলেম বলেন, “আর-রহমান” ও “আর-রহিম” এই দুই নামই ইসমে আজম হতে পারে। কারণ কুরআনের প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতেই আল্লাহ নিজেকে এই নামে পরিচয় করিয়েছেন:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
এটি এই নামগুলোর বিশেষ মর্যাদাকে তুলে ধরে।
৩. আল-হাইয়্যুল কাইয়্যুম
আরেক দল আলেমের মতে, “আল-হাইয়্যুল কাইয়্যুম” (সর্বজীবিত ও সর্বপ্রতিষ্ঠাকারী) এই দুটি নামই ইসমে আজম। কুরআনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াতে, বিশেষত আয়াতুল কুরসিতে, আল্লাহ এই নামগুলো ব্যবহার করেছেন।
এছাড়া, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কিছু দোয়ায় এই নামগুলো ব্যবহার করতেন। যেমন:
ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম, বিরাহমাতিকা আস্তাগীস।
অনেক আলেমের মতে, এসব দোয়ায় ইসমে আজম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওলামায়ে কেরামের মতে, ইসমে আজম নিয়ে মোট ১৪টি ভিন্নমত রয়েছে, তবে উপরের তিনটি মতামত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
- এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...