Logo Logo

টাকার অভাবে হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না পোশাককর্মী


Splash Image

টাকার অভাবে হাসপাতাল ছাড়তে পারছেন না গার্মেন্টসকর্মী মো. হেলাল উদ্দিন (৪০)। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসলেও হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এখনও বন্দি অবস্থায় আছেন ময়মনসিংহ শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে।


বিজ্ঞাপন


অসহায় এই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেশের হৃদয়বান ও সহানুভূতিশীল মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন হেলালের স্ত্রী নাছরিন সুলতানা মুক্তা।

ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের রাংচাপড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক। তার স্ত্রী টিউশন করে সংসারে কিছুটা সাহায্য করলেও তা খুবই সীমিত। সংসারে রয়েছে দুই ছেলে। বড় ছেলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ও ছোট ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ভিটেমাটি ছাড়া তাদের আর কোনো সহায়-সম্পদ নেই।

গত ২৫ জুলাই কর্মস্থলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন হেলাল। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও আইসিইউ খালি না থাকায় মুক্তা স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে যান শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। তখন আগাম কোনো অর্থ জমা না দিয়েই আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বর্তমানে তিনি সুস্থ। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেতে হলে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করতে হবে। এর ওপর প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে আরও দেড় হাজার টাকা করে।

হেলালের স্ত্রী মুক্তা বলেন, ‘অতিকষ্টে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ধারদেনা করে স্বামীর ঔষধের টাকার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। এখন টাকার অভাবে স্বামীকে হাসপাতাল থেকে আনতে পারছি না। হাসপাতাল থেকে স্বামীকে বাড়ি আনতে আমি দেশের বিত্তবানদের সহায়তা কমনা করছি।’

ক্লিনিকের আইসিইউ ব্যবস্থাপক জানান, মানবিক দিক বিবেচনায় হেলাল উদ্দিনকে আইসিও’তে ভর্তির সময় অগ্রিম কোন টাকা নেওয়া হয়নি। রোগী সুস্থ হওয়া পর্যন্ত বিল হয়েছিল এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এখন প্রতিদিন এক হাজার ৫শত টাকা করে বিল বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী টাকা সংগ্রহের কথা বলে বলে সময় নিচ্ছেন। কিন্তু এপর্যন্ত কোন টাকাই জমা দেননি। উনি টাকা নিয়ে আসলে মানবিক বিষয়টি পরে দেখা যেতো।’

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...