বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতির জেলে মো. বাহার উদ্দিন ভোররাতে মেঘনায় জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর জাল তুলতে গিয়ে অন্যান্য মাঝারি ও ছোট ইলিশের সঙ্গে ধরা পড়ে ২টি বড় রানি ইলিশ। পরে মাছ দুটি তিনি চেয়ারম্যান ঘাটের আড়তে নিয়ে আসেন।
জেলে মো. বাহার উদ্দিন বলেন, “সাগরে পোয়া মাছ পাইছি, ইলিশ পাইছি। এর মধ্যে দুইটা বড় রানি ইলিশ পাইছি, যা ভালো দামে বিক্রি করছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব খুশি।”
নিলামে অংশ নিয়ে মাছ দুটি কিনে নেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী ফজল ভাণ্ডারী। তিনি জানান, “আমি সাড়ে ৫ কেজি ওজনের ২টি মাছ সাড়ে ১১ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। ঢাকায় আমার পার্টি আছে, তাদের কাছেই পাঠাবো। এই মৌসুমে এত বড় ইলিশ ধরা পড়েনি। ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।”
চেয়ারম্যান ঘাটের আল্লার দান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. আকবর বলেন, “সাগর উত্তাল থাকায় অনেক জেলে নৌকা নিয়ে পাড়ে অপেক্ষা করছেন। বর্তমানে মাছের আকাল। যার কারণে জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার, শ্রমিক—সবার অবস্থা খারাপ। তবে মাছ পেলে সবার মুখে হাসি ফুটে।”
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, “প্রায়ই বড় বড় ইলিশ পাওয়া যায় এবং দামও ভালো মেলে। সরকারের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের কারণে নদীতে বড় আকৃতির মাছের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা আশা করছি সামনে আরও বেশি বড় ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়বে। এতে জেলেদের মুখে হাসি ফুটবে এবং বাজারেও সাড়া ফেলবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...