বিজ্ঞাপন
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, সেনারা ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রগুলো কর্ডন করে রাখবে, যাতে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে না পারে বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভোটের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে কোনো বহিরাগত থাকার অনুমতি থাকবে না।
আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রার্থীরা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচারের সুযোগ থাকবে। তবে ছাত্রীদের হলে রাত ১০টার পর প্রচার করা যাবে না।
প্রচারে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রার্থীরা কেবল সাদাকালো পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ব্যবহার করতে পারবেন। প্রার্থীর ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। ক্যাম্পাস বা হলের স্থাপনা, যানবাহন, গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ। তোরণ, ফটক, আলোকসজ্জা কিংবা ঘের নির্মাণ করা যাবে না। তবে অস্থায়ী প্যান্ডেল, শামিয়ানা ও মঞ্চ স্থাপন করার সুযোগ থাকবে।
ধর্মীয় উপাসনালয়, শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ বা পরীক্ষার হলে প্রচারণা চালানো যাবে না। ভোটারদের কোনো ধরনের উপঢৌকন বা বকশিস দেওয়া, আক্রমণাত্মক বক্তব্য, গুজব ছড়ানো কিংবা উসকানিমূলক মন্তব্যও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সভা-সমাবেশ বা শোভাযাত্রা করতে হলে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে। প্রচারে বা ভোটের দিন খাবার-পানীয় পরিবেশন করা যাবে না। অনলাইনে কেবল ইতিবাচক প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটার ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার বা আইন অনুযায়ী দণ্ডের বিধান রয়েছে।
গতকাল সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ২১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীও রয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত ও ঘোষিত প্যানেলে স্থান না পাওয়ায় তারা সরে দাঁড়ান।
এ ছাড়া বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর আপিল করেছিলেন ৩৪ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই শেষে সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্প্রতি ট্রাইব্যুনাল কমিটির বৈঠকে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও বায়েজিদ বোস্তামী নামের দুই শিক্ষার্থীকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিষিদ্ধ সংগঠনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভোটার ও প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। পরে তাদের প্রার্থিতা ও ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। তবে জুলিয়াস সিজার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন।
নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠক করেছে। উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, সিটি এসবির ডিআইজি মীর আশরাফ আলী, রমনা জোনের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম ও শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ভোটদান ও সুষ্ঠু ভোটগণনা নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ডাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...