Logo Logo

কী আছে আইফোন ১৭-তে?


Splash Image

প্রযুক্তি জগতের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান অ্যাপেল সম্প্রতি আয়োজন করেছে তাদের আলোচিত বাৎসরিক ইভেন্ট, যার নাম রাখা হয়েছিল “Awe Dropping”। নামের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ইভেন্টটি ছিল চমকপ্রদ। নতুন স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড এবং পেশাদার ভিডিওগ্রাফির জন্য সফটওয়্যারসহ একাধিক প্রোডাক্ট উন্মোচিত হয়েছে। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নিঃসন্দেহে আইফোন ১৭ সিরিজ।


বিজ্ঞাপন


আইফোন ১৭ সিরিজে এসেছে মোট চারটি মডেল– আইফোন ১৭, আইফোন ১৭ এয়ার, আইফোন ১৭ প্রো এবং আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স। প্রতিটি মডেলে রয়েছে আলাদা নতুনত্ব, তবে স্ট্যান্ডার্ড মডেল আইফোন ১৭–ই বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আইফোন ১৭–এ রয়েছে ৬.৩ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে, যা এবার প্রো মডেলের মতোই প্রোমোশন প্রযুক্তি (১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট) ও সর্বোচ্চ ৩,০০০ নিটস উজ্জ্বলতা প্রদান করে। নতুন প্রজন্মের সেরামিক শিল্ড ২ সংযোজনের ফলে আঁচড় প্রতিরোধে এটি তিন গুণ বেশি শক্তিশালী। ফ্রন্ট ক্যামেরায় যুক্ত হয়েছে ‘সেন্টার স্টেজ’ প্রযুক্তিসহ ১৮ মেগাপিক্সেল লেন্স। পেছনে থাকছে ডুয়াল ৪৮ মেগাপিক্সেল ফিউশন ক্যামেরা সিস্টেম, যেখানে মেইন, টেলিফটো ও আলট্রা–ওয়াইড লেন্সের সমন্বয় রয়েছে। ডিভাইসটি চালাবে নতুন A19 চিপসেট, যা কর্মক্ষমতা ও ব্যাটারি লাইফ দুই ক্ষেত্রে উন্নতি এনেছে।

সবচেয়ে আলোচিত মডেল হলো আইফোন ১৭ এয়ার, যা মাত্র ৫.৬ মিলিমিটার পুরুত্বে অ্যাপেলের ইতিহাসের সবচেয়ে পাতলা আইফোন হিসেবে পরিচিত। ফ্রেম তৈরি হয়েছে গ্রেড–৫ টাইটানিয়াম দিয়ে। এতে রয়েছে A19 Pro চিপসেট এবং নতুন N1 ও C1X নেটওয়ার্কিং চিপ, যা উন্নত ওয়াই–ফাই ৭, ব্লুটুথ ৬ এবং থ্রেড সাপোর্ট প্রদান করে। ডিসপ্লের আকার ৬.৫ ইঞ্চি। ক্যামেরা ও ফ্রন্ট ক্যামেরা যথাক্রমে ৪৮ মেগাপিক্সেল ও ১৮ মেগাপিক্সেল। স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট শুরু হচ্ছে ২৫৬ জিবি থেকে।

আইফোন ১৭ প্রো ও প্রো ম্যাক্স মডেলগুলোতে এসেছে নতুন অ্যালুমিনিয়ামের ইউনিবডি ডিজাইন এবং ভেতরে ভ্যাপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম, ফলে ফোন থাকে ঠান্ডা এবং ব্যাটারিও দীর্ঘস্থায়ী। ক্যামেরা সিস্টেমে রয়েছে তিনটি ৪৮ মেগাপিক্সেল ফিউশন লেন্স, যার মধ্যে প্রথমবারের মতো সংযোজিত হয়েছে ৮ গুণ অপটিক্যাল জুম টেলিফটো ক্যামেরা। পেশাদার ভিডিওগ্রাফির জন্য সংযোজিত ফিচারসমূহ হলো ProRes RAW, Apple Log 2 এবং জেনলক সাপোর্ট। ডিসপ্লের আকার যথাক্রমে ৬.৩ ও ৬.৯ ইঞ্চি, উভয়ই প্রোমোশন, অলওয়েজ–অন এবং সর্বোচ্চ ৩,০০০ নিটস উজ্জ্বলতা সমর্থন করে।

আইফোন ১৭–এর দাম শুরু হয়েছে ৭৯৯ ডলার থেকে। আইফোন ১৭ এয়ার ৯৯৯ ডলার, আইফোন ১৭ প্রো ১,০৯৯ ডলার এবং প্রো ম্যাক্স ১,১৯৯ ডলার থেকে পাওয়া যাবে। প্রি–অর্ডার শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর, বাজারে পাওয়া যাবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।

শুধু আইফোন নয়, স্মার্টওয়াচেও এসেছে বড় আপডেট। অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ৩–এ যোগ হয়েছে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম, যা অফ–গ্রিড অবস্থাতেও মেসেজিং ও লোকেশন শেয়ার করার সুযোগ দেবে। ব্যাটারি লাইফ সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা। এছাড়া উন্মোচিত হয়েছে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১১ ও এসই ৩, যার স্বাস্থ্য বৈশিষ্ট্যে সংযোজিত হয়েছে হাই ব্লাড প্রেসার নোটিফিকেশন, স্লিপ–স্কোর এবং ওভুলেশন অনুমান।

শ্রবণযন্ত্রে নতুন সংযোজন হলো এয়ারপডস প্রো ৩, যাতে যুক্ত হয়েছে হার্ট রেট মনিটরিং, উন্নত নয়েজ ক্যানসেলেশন এবং লাইভ ট্রান্সলেশন। পেশাদার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য এসেছে নতুন ফাইনাল কাট ক্যামেরা ২.০, যেখানে রয়েছে ProRes RAW, জেনলক, ওপেন গেট রেকর্ডিং এবং আরও নানা ফিচার, যা আইফোন ১৭ প্রো মডেলে সর্বোচ্চ সুবিধা দেবে।

অ্যাপেলের এই ইভেন্ট প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য বাণিজ্যিক ও বিনোদনমূলক উভয় দিকেই চমক নিয়ে এসেছে, এবং নতুন আইফোন ও ডিভাইসগুলো বাজারে আসার পর তা প্রভাব ফেলবে গ্লোবাল টেক ইন্ডাস্ট্রিতে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...