ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা ও বিতর্ক। আগামী ৪ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখনো নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করেনি। তার আগেই জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়ে নির্ধারিত সময়ে ফরম জমা দিয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠকরা। তবে অ্যাডহক কমিটি যেসব জেলা ক্রীড়া সংস্থা কাউন্সিলরের জন্য মনোনয়ন দেয়নি, তাদের আবেদন বাতিল করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এদিকে বিসিবি সভাপতি প্রধান নির্বাহীর পরিবর্তে নিজে স্বাক্ষর করে অ্যাডহক কমিটি থেকে নতুন কাউন্সিলর মনোনয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ক্রিকেট মহলে তুমুল আলোচনা চলছে। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারি হস্তক্ষেপ এবং সভাপতির ক্ষমতার অপ্রয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম অভিযোগ করে বলেন, বুলবুল দাবি করেছিলেন যে তিনি নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অথচ তার স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে আগের কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র অ্যাডহক কমিটি থেকে মনোনীত কাউন্সিলরদের গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সংবিধান অনুযায়ী কমিটি গঠনের পর বিসিবি সভাপতি কোনোভাবেই এ ধরনের স্বাক্ষর করার ক্ষমতা রাখেন না।
তামিম পরিষ্কারভাবে জানান, তিনি শুধু একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চান। ফলাফল যাই হোক না কেন, তা তার কাছে গৌণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জিতি বা হারি, আমি চাই স্বচ্ছ নির্বাচন হোক।” নিজের অবসর প্রসঙ্গে তামিম জানান, নির্বাচিত হলে তিনি আর ক্রিকেট খেলবেন না, তবে চ্যারিটি ম্যাচের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা হতে পারে।
এই ঘটনাপ্রবাহে বিসিবির নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এবং স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...