বিজ্ঞাপন
এরমধ্যে প্রথম ঘোষণা আসে কানাডার পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও সর্বশেষে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি আজ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও হামাসের প্রভাবমুক্ত ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যাতে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজও একই দিনে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন ধরে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ইসরাইল ও ফিলিস্তিন জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান পুনর্জীবিত করতে আমি আজ অসাধারণ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।” এই পদক্ষেপটি ইসরাইলের গাজা অভিযানের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সহানুভূতির প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য সরকার আশা করছে, এই স্বীকৃতি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে নতুন আলো ফেলবে।
এই পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপগুলোর বিরোধিতা করেছে, তাদের মতে এটি হামাসকে বৈধতা দেওয়ার সমান। তবে, যুক্তরাজ্য ও কানাডা স্পষ্ট করেছে যে, এই স্বীকৃতি হামাসকে সমর্থন দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে, তবে এর বাস্তবায়ন নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...