বিজ্ঞাপন
মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, দেবী দুর্গাসহ মোট ১২টি প্রতিমা সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। প্রতিমার প্রাকৃতিক সোনালি আভা সীমিত রঙ ব্যবহার সত্ত্বেও এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে।
প্রতিমা তৈরির মূল কারিগর প্রহ্লাদ বিশ্বাস জানান, “দু’মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করেছি। কাঠ, বাঁশ ও মাটির কাজ শেষে ধৈর্যের সঙ্গে প্রতিটি অংশে ছোট ছোট আঁশ বসানো হয়েছে। কেবল আঁশ বসাতে লেগেছে টানা পাঁচ দিন। দেশে এর আগে এমন পাটের প্রতিমা তৈরি হয়নি।”
পালপাড়া পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার পাল জানান, “১৯৮৩ সাল থেকে আমরা দুর্গাপূজা আয়োজন করছি। প্রতি বছর আমরা চেষ্টা করি ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিমা সাজাতে, যাতে মানুষ নতুন কিছু দেখার সুযোগ পায়।” তিনি আরও জানান, এবারের প্রতিমায় প্রায় ৫০ কেজি আঁশ ব্যবহার হয়েছে এবং খরচ পড়েছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। পূজার পাঁচ দিনে মোট খরচ হতে পারে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা, যা বহন করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রবাসীরা।
দর্শনার্থী শম্ভু পাল বলেন, “পাট দিয়ে প্রতিমা এতটা দৃষ্টিনন্দন হবে, তা বিশ্বাস করা যেত না। পুরো মণ্ডপ সোনালি ঝলকে আলোকিত।” স্থানীয়রা জানান, প্রতিমাকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উৎসবের আবহ বিরাজ করছে। মন্দির চত্বর নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে এবং পূজা-অর্চনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় এবছর মোট ৫৮৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৬টি, তালায় ১৯৫টি, কলারোয়ায় ৪৪টি, শ্যামনগরে ৬৯টি, আশাশুনিতে ১০৩টি, কালিগঞ্জে ৪৯টি ও দেবহাটায় ২১টি মণ্ডপ রয়েছে।
দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে, তবে ইতিমধ্যেই প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন পালপাড়ার এই অভিনব মণ্ডপে। অনেকেরই প্রত্যাশা, এবারের দুর্গাপূজা কলারোয়ার ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...