বিজ্ঞাপন
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কালুহাটি পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কারিমন বেওয়ার দাবি, তার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য শুকচান্দ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম। ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এদিকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ইতিমধ্যেই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ বছর আগে কালুহাটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আকছেদ আলী মারা যান, দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রেখে। এরপর বিধবা নারী কারিমন বেওয়া সন্তানদের নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন এবং জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যান। এ সময়ে প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য শুকচান্দ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম পাশে দাঁড়ান। এক পর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্কের সূত্র ধরে কারিমন বেওয়া গর্ভবতী হন। গর্ভপতনের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তিনি রবিবার সন্ধ্যার আগে নিজ বাড়িতেই এক পুত্র সন্তানকে জন্ম দেন। বর্তমানে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কারিমন বেগম বলেন, “২০১৬ সালে আমার স্বামী আকছেদ মারা যান। দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে একমাত্র জীবনযুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম। সাইফুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে আমি গর্ভবতী হই। সে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেছিল। আজকে আমার একটি পুত্র সন্তান হয়েছে। বিয়ে করার কথা বলে সে যে অন্যায় করেছে, আমি তার বিচার চাই। এই নবজাতকের পিতৃ পরিচয় চাই।”
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তালহাড়া গ্রামের কাবির উদ্দিনের মেয়ে কারিমন বেগমের সঙ্গে কালুহাটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আকছেদ আলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেন। বর্তমানে বড় ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্র, মেজ ছেলে ৮ম শ্রেণি ও কন্যা সন্তান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এসময় সাইফুলের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, “আমার স্বামী নির্দোষ, তার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। কারিমন বেগমের একাধিক মানুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।”
স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শামীম সরদার বলেন, “আকছেদ আলী মারা যাওয়ার পরে তার বিধবা স্ত্রী নিজ বাড়িতেই পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।”
ওই নারীর ভাসুরের ছেলে মাসুদ রানা জানান, “চাচা মারা যাওয়ার পর প্রায় প্রতিদিন রাতে কারিমন বেগমের বাড়ির আশেপাশে দেখা যেত সাইফুল ইসলামকে। আমরা চাই, তার অন্যায়কে বিচার করা হোক এবং নবজাতক সন্তানের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।”
চারঘাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমরা রাতেই জানতে পেরেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...