বিজ্ঞাপন
ঘটনার প্রেক্ষাপট বলছে, গত সপ্তাহে ট্রাম্প ৮টি আরব ও মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ২১ দফার একটি খসড়া নিয়ে আলোচনা করেন। সেই বৈঠকের পর আরব নেতারা যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে আশাবাদী হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০ দফার একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন, যাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও সমর্থন জানান। তবে আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত প্রস্তাবে নেতানিয়াহু কিছু পরিবর্তন আনেন, যা মূল আলোচনা থেকে অনেকটাই ভিন্ন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ‘মিডেল ইস্ট মনিটর’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহুর আনা সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি হলো গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি। আরব নেতাদের সাথে সমন্বয় করা প্রাথমিক খসড়ায় সেনা প্রত্যাহারের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা থাকলেও চূড়ান্ত প্রস্তাবে এটিকে সরাসরি হামাসের নিরস্ত্রীকরণের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, হামাস সম্পূর্ণ নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে সরবে না। এই প্রস্তাবে সেনা প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমাও উল্লেখ করা হয়নি।
এই পরিবর্তনে আরব বিশ্বের আলোচকরা হতাশ হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র মিডেল ইস্ট মনিটরকে জানিয়েছে, "এটি প্রথমে একটি যৌথ প্রচেষ্টা ছিল, কিন্তু এখন ইসরায়েল বিষয়টিকে ‘শান্তির’ পরিবর্তে কেবল নিজেদের নিরাপত্তার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।"
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস দেশটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামাস যদি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো পরিবর্তন চায়, তবে তা বিবেচনা করা হতে পারে। তবে মূল প্রস্তাবে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে। নেতানিয়াহুর এই কঠোর অবস্থান গাজায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করে তুলল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...