Logo Logo

টি–টোয়েন্টিতে কিপটে বোলিংয়ে শীর্ষে বাংলাদেশের পেসাররা


Splash Image

ছবি: সংগৃহীত।।


বিজ্ঞাপন


একসময় স্পিননির্ভর দল হিসেবেই পরিচিত ছিল বাংলাদেশ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলিং আক্রমণে এসেছে পরিবর্তন। এখন স্পিনারদের পাশাপাশি পেসাররাও দারুণ পারফরম্যান্স করছেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে। চলতি বছর টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ওভারপ্রতি গড়ে রান দেওয়ার হিসেবে (ইকোনমি রেট) সবচেয়ে কিপটে বাংলাদেশ দলের পেসাররা।

২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ২৪ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ২৪৬.২ ওভার বোলিং করে বাংলাদেশের পেসারদের ইকোনমি রেট ৭.৮৩, যা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সেরা। এই সময়ে তাঁরা নিয়েছেন ৯১টি উইকেট—যা পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের পেসাররা নিয়েছেন ৯৩ উইকেট, যদিও তারা বাংলাদেশের চেয়ে দুটি ম্যাচ বেশি খেলেছে।

টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে এ বছর ৮–এর নিচে ইকোনমি রেট আছে কেবল বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশের পরেই আছে নিউজিল্যান্ড—১৪ ম্যাচে ১৬৮.৩ ওভার বোলিং করে তাঁদের ইকোনমি রেট ৭.৯১, উইকেট সংখ্যা ৭২। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ে, যাদের পেসাররা ১৮ ম্যাচে ১৮৯.৫ ওভার বোলিং করে ৭৩ উইকেট নিয়েছেন ৭.৯৬ ইকোনমি রেটে।

পরবর্তী তিনটি অবস্থানে আছে উপমহাদেশের তিন শক্তিশালী দল—শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তান। ১৩ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নেওয়ার পথে লঙ্কান পেসারদের ইকোনমি রেট ৮.৩১। ভারতের পেসারদের ইকোনমি রেট ৮.৫০, আর পাকিস্তানের ৮.৫৪। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ৮.৯৫ ইকোনমি রেটে সপ্তম স্থানে রয়েছে। আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড যথাক্রমে নবম ও দশম অবস্থানে।

সব দল মিলিয়ে হিসাব করলে, আইসিসির সহযোগী দেশ কোস্টারিকা আশ্চর্যজনকভাবে টি–টোয়েন্টিতে পেসারদের ইকোনমি রেটে শীর্ষে রয়েছে। ১০ ম্যাচে ১৬৯.১ ওভার বোলিং করে ৬১ উইকেট নেওয়ার পথে তাঁদের ইকোনমি রেট মাত্র ৪.৮১—যা ৫–এর নিচে একমাত্র রেকর্ড। তবে সহযোগী দেশগুলোসহ সব দল বিবেচনায় নিলে, বাংলাদেশের পেসাররা ইকোনমি রেটে সামগ্রিকভাবে ৩৪তম অবস্থানে রয়েছে।

তবু টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পেসারদের এমন ধারাবাহিক ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং পারফরম্যান্স দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...