বিজ্ঞাপন
অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, আকর্ষণীয় ও দূরদর্শী রচনার জন্য তাকে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তাদের ভাষায়, ক্রাসনাহোরকাইয়ের লেখনি বৈশ্বিক ভয়াবহতার ভেতরেও শিল্পের শক্তিকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে।
সুইডিশ অ্যাকাডেমির আরও মন্তব্য, “লাসজলো ক্রাসনাহোরকাই মধ্য ইউরোপীয় সাহিত্যের একজন মহাকাব্যিক লেখক। তার সাহিত্যকর্ম বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক কাফকা ও থমাস বার্নহার্ডের মতো লেখকদের দ্বারা অনুপ্রাণিত।”
লাসজলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ২০০৩ সালের উপন্যাস ‘এ মাউন্টেন টু দ্য নর্থ, এ লেক টু দ্য সাউথ, পাথস টু দ্য ওয়েস্ট, এ রিভার টু দা ইস্ট’। উপন্যাসটি জাপানের কিয়োটোর এক রহস্যময় কাহিনি নিয়ে রচিত, যেখানে কাব্যিক ভাষা ও সৌন্দর্যের সমন্বয় পাঠককে নিয়ে যায় গভীর চিন্তার জগতে।
এই উপন্যাসটির ওপর ভিত্তি করেই তিনি পরবর্তীতে তার বিশাল সাহিত্য সংকলন ‘সেইবো দেয়ার বিলো’ রচনা করেন। সংকলনটিতে রয়েছে ১৭টি গল্প, যেগুলো বিশেষ বিন্যাসে সাজানো। গল্পগুলোতে আলোচিত হয়েছে এমন এক জগতের সৌন্দর্য ও শিল্পের অবস্থান, যেখানে দ্রুত পরিবর্তনের ভেতরেও সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করা প্রায় অসম্ভব।
বইটির সূচনা হয় কামো নদীর ধারে অপেক্ষারত একটি সাদা বকের মনোমুগ্ধকর চিত্র দিয়ে। আর মূল থিমটি এসেছে জাপানের এক পৌরাণিক কাহিনি থেকে, যেখানে ‘সেইবো’ নামের এক দেবী পাহারা দেন এমন এক বাগানকে, যেখানে প্রতি তিন হাজার বছর পর অমরত্বের ফল ধরে।
‘সেইবো দেয়ার বিলো’ গল্পগুলোতে লেখক শিল্প সৃষ্টির প্রক্রিয়া ও শিল্পীর অনুপস্থিতির দার্শনিক তাৎপর্য অনুসন্ধান করেছেন। এসব গল্পে দেখা যায়, শিল্প সৃষ্টির দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নিপুণ দক্ষতার পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত ঘটনাও শিল্পের জন্ম দিতে পারে। অনেক সময় শিল্পীর পরিবর্তে অন্য চরিত্ররা সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখলেও তারা এর গভীর অর্থ অনুধাবন করতে পারে না।
সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানায়, সাহিত্যের নোবেলের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করা হয় না এবং ৫০ বছর ধরে গোপন রাখা হয় এই তালিকা। ফলে কে পুরস্কার পাবেন, তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১৭ বার সাহিত্যে নোবেল প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কার পেয়েছেন ১২১ জন সাহিত্যিক, যার মধ্যে ১৮ জন নারী। এছাড়া চারবার একাধিক সাহিত্যিককে যৌথভাবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...