Logo Logo

জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা জনগণ থেকে ছিটকে গেছে : নাহিদ


Splash Image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদে যারা স্বাক্ষর করেছে তারা গণঅভ্যুত্থান ও সাধারণ জনগণ থেকে ছিটকে গেছে।


বিজ্ঞাপন


শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “গতকালকের ঘটনায় যে জুলাই যোদ্ধারা আহত হয়েছেন, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ তাদের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুসারী আখ্যা দিয়েছেন। আমরা এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সম্ভবত তথ্যের অভাবে তিনি এ রকম মন্তব্য করেছেন। যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন দেশে ছিলেন না, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজপথে ছিলেন না, তাই হয়তো তিনি জানেন না কারা লড়াই করেছে, কারা বুলেটের মুখে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আতিকুল গাজী যার হাত কাটা গেছে, তাকে যখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বলা হয়; শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা বা শহীদ ইয়ামিনের বাবাকেও এভাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, তিনি এই মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন এবং আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।”

নাহিদ ইসলাম বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস শুনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “উনি আমাদের সঙ্গে বসে জানতে পারেন কারা লড়াই করেছে, কিভাবে লড়াই হয়েছে, এবং কীভাবে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সনদে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা স্বাক্ষর করেছেন। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। ড. ইউনূস স্বাক্ষরের পর বলেন, “আজকের দিনটি বিশ্বের জন্য একটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে। যারা ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে, তারা দেখিয়েছে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।”

এনসিপি এই সনদে স্বাক্ষর করেনি। তাদের প্রধান আপত্তি ছিল—সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও আইনি ভিত্তি স্পষ্ট না হওয়া। এছাড়া সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশ জাসদ ও বাসদ (মার্ক্সবাদী)সহ অন্যান্য বাম দলও স্বাক্ষর থেকে বিরত ছিল।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংসদ ভবনে ‘জুলাই যোদ্ধা’রা মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। তাদের সরানোর সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। লাঠিপেটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং সড়কে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশ ও জুলাই যোদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...