বিজ্ঞাপন
মৎস্য বন্দর আলিপুর, মহিপুর ও কুয়াকাটার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ইতোমধ্যে জেলেরা জাল মেরামত, ট্রলার মেরামতসহ সব রকমের কাজ প্রায় শেষ। চলছে একদম শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ২২ দিন অলস সময় কাটানোর পর সাগর ও নদীতে মাছ ধরতে নামবে জেলেরা। এ কারণে আনন্দ ফিরে আসছে জেলে পরিবারগুলোতে। তবে অভিযান সফল হওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার মাছের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে আশা করছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও মৎস্যজীবীরা।
ট্রলার মালিক আঃ জলিল বলেন, এবার মৌসুমে সাগরে জেলেদের জালে তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। মালিকদের আসল পুঁজিও ওঠেনি। এর মধ্যে আবার পরাপর দুটি নিষেধাজ্ঞা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আছেই।তবে আমরা আশাবাদী নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে ভালো মাছ মিলবে। জেলেদের সাগরে পাঠানোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে আমাদের।
কুয়াকাটার সোহেল বলেন, পুরো বছরটা চলে যায় সরকারি আর প্রাকৃতিক নিষেধাজ্ঞায় বসে থাকতে থাকতে। এর ফাঁকে যে সময়টুকু আমরা সাগরে থাকি তাতেও মিলছে না পর্যাপ্ত মাছ। এই নিষেধাজ্ঞা শেষে যদি সাগরে পর্যাপ্ত মাছ পাই তাহলে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারবো।
কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি হালিম ব্যাপারী বলেন, আমাদের জেলেরা সরকারের সব নিয়মকানুন মেনেই সাগরে মাছ শিকার করছে। কিন্তু বাংলাদেশে যখন সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা চলে তখন ভারতের জেলেরা আমাদের সীমানায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।আমরা চাই এটা যাতে দ্রুত বন্ধ হয়। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আমাদের জেলেরা সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ব্যতীত সঠিকভাবে পালন হয়েছে উপজেলায়। বর্তমানে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শনিবার (২৫ অক্টোবর ) মধ্যরাত থেকেই সাগরে যেতে পারবেন জেলেরা। আশা করছি জেলেরা সাগর থেকে হাসিমুখেই ফিরে আসবে ঘাটে।
প্রতিনিধি -জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...