বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ভুক্তভোগীর দুলাভাই জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৮), কামরুল মৃধা (৩৮), আলী বেপারী (৪৩) ও বক্কার বেপারী (৩৮)। তাদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি দেড় লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রমাণ লোপাটের দায়ে মমতাজ বেগম ও আবুল কালাম বেপারীকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর বেপারী পলাতক থাকলেও অন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে দুলাভাই জাহাঙ্গীর বেপারী তার সহযোগীদের নিয়ে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে বলে, ‘বোন অনেক অসুস্থ, খবর দিতে বাড়ি এসেছি, দরজা খোল।’ দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পরদিন স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে মেয়ের লাশ দাফন করেন ভুক্তভোগীর মা। পরবর্তীতে ঘটনার প্রকৃত বিষয় জানতে পেরে তিনি নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন, “আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন রোধে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...