Logo Logo

পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে এল নিষিদ্ধ পপি বীজ


Splash Image

পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত দুই কনটেইনারে পাখির খাদ্যের আড়ালে আমদানি–নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদিব ট্রেডিং পাকিস্তান থেকে চালানটি আমদানি করে। নথি অনুযায়ী, দুই কনটেইনারে মোট ৩২ টন পাখির খাদ্য আসার কথা ছিল। গত ৯ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে নামানো হয় এবং পরে খালাসের জন্য তা বেসরকারি ডিপো ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে নেওয়া হয়।

তবে গোপন সংবাদে তথ্য পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ী ২২ অক্টোবর কনটেইনার দুটি খোলা হলে সন্দেহজনক পণ্য পাওয়া যায়। উদ্ধার করা নমুনা তিনটি পৃথক পরীক্ষাগারে পাঠানো হলে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেখানে পপি বীজ রয়েছে।

পরীক্ষায় দেখা যায়, দুই কনটেইনারে মোট ৭ টন পাখির খাদ্য এবং ২৫ টন পপি বীজ মজুদ ছিল। পণ্য বোঝাইয়ের সময় বিষয়টি গোপন রাখতে কনটেইনারের দরজার মুখে পাখির খাদ্যের বস্তা এবং ভেতরের অংশে পপি বীজের বস্তা রাখা হয়েছিল বলে জানায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবির বলেন, “জব্দ করা পপি বীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। এটি আমদানি–নিষিদ্ধ হওয়ায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

কাস্টমস কর্মকর্তারা আরও জানান, পপি বীজ যদি অঙ্কুরোদ্‌গম উপযোগী হয়, তবে তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, পপি বীজের আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...