বিজ্ঞাপন
বিদ্যালয়ের রেজিস্টার অনুযায়ী মোট ১০৬ জন শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত ছিল মাত্র ৪৯ জন। শ্রেণিভিত্তিক উপস্থিতি ছিল—প্রি-প্রাইমারি ৮ জন, প্রথম শ্রেণি ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণি ১০ জন, তৃতীয় শ্রেণি ৫ জন, চতুর্থ শ্রেণি ৭ জন এবং পঞ্চম শ্রেণি ৯ জন। অর্ধেকেরও কম উপস্থিতি শিক্ষার পরিবেশ ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
শিক্ষক উপস্থিতির অবস্থাও একইভাবে হতাশাজনক। বিদ্যালয়ে মোট ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন—সহকারী শিক্ষিকা নুরানী বেগম এবং সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক। অনুপস্থিতদের মধ্যে রয়েছেন—ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার, একজন শিক্ষক ১৭/১২/২৫ তারিখ পর্যন্ত নৈমিত্তিক ছুটিতে, এবং শিক্ষক কামরুল লায়লা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—উপস্থিত শিক্ষকরা শিক্ষক কামরুল লায়লার অনুপস্থিতির স্পষ্ট কারণ জানাতে পারেননি।
পরিদর্শনের সময় অনুপস্থিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন—
“আমি এখন জামালপুরে আছি। গাড়িতে আছি, তাই বিস্তারিত কথা বলতে পারছি না। পরে যোগাযোগ করলে কথা বলব।”
এছাড়াও দেখা যায়—অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল ড্রেস নেই। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “আমরা এখনো স্কুলের ড্রেস পাইনি। কয়েকবার ড্রেসের কথা বললেও শুধু বলা হয়—এখনো ড্রেস দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আমাদের ড্রেস ছাড়া স্কুলে আসতে হয়। এতে সবাই এক ধরনের অস্বস্তিতে থাকে, আবার অনেকে ড্রেস না থাকার কারণে নিয়মিত স্কুলেও আসে না।”
শ্রেণিকক্ষের শৃঙ্খলা দুর্বল, প্রয়োজনীয় শিক্ষাসামগ্রী ও উপকরণের ঘাটতি রয়েছে, এবং প্রশাসনিক তদারকির অভাব স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলের মতে, নিয়মিত শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করা, বিদ্যালয় তদারকি জোরদার করা, শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেস ও শিক্ষাসামগ্রী দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া—এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে তারা মত দেন।
প্রতিবেদক- আমিনুল ইসলাম, জামালপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...