ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর কর্মীদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর স্পষ্ট করে বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে এই মার্জার প্রক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা আশা করি, পরবর্তী সরকার এসে এ উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নেবে।”
তিনি আরও জানান, একীভবনের পর কিছু শাখা স্থানান্তর করা হতে পারে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে অতিরিক্ত রয়েছে, সেগুলোকে গ্রামীণ এলাকাগুলোর দিকে স্থানান্তর করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, “সম্পদ উদ্ধারের জন্য চূড়ান্ত আদালতের রায় অপরিহার্য। এর আগে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি নথিপত্র প্রস্তুত করতে হবে।”
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক চায় আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক—উদ্ধারের দাবি কতটা যৌক্তিক। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথাও উল্লেখ করেন গভর্নর। তিনি বলেন, “আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থাও রয়েছে। এতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছান।”
গভর্নর বলেন, আদালত নাকি এডিআর—কোন পথ অবলম্বন করা হবে, তা নির্ধারণ করবে সরকার। নির্দেশনা পেলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করবে এবং প্রক্রিয়াটি শুরু করবে।
তিনি আরও জানান, “দেশীয় সম্পদের জন্য দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।”
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...