ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
অধিকারকর্মীরা জানাচ্ছেন, বহু মুসলিম পরিবার ভুলভাবে 'বিদেশি' হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ না পেয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আর্থিকভাবে দুর্বল এবং আইনি সহায়তা নেয়ার সামর্থ্য নেই।
২০১৬ সালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশে প্রায় ২ কোটি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে। এই অভিবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাভাষী মুসলিম, যাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সরকার চলমান উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
দ্বিতীয় অংশ:
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া পরিচালক ইলেইন পিয়ারসন বলেন, “ভারত অবৈধ অভিবাসী শনাক্তের নামে হাজার হাজার দুর্বল মানুষকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এই পদক্ষেপ মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”
ভারত সরকার চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ২,৩৬৯ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে এবং বাংলাদেশকে দ্রুত যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
ভারতের আসামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এই দমন-পীড়ন বিজেপির ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, শেখ হাসিনার পতন ও বাংলাদেশে ‘হিন্দুদের ওপর হামলা’ ঘটনার পর সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধের বিভিন্ন উদাহরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন।
বিশ্লেষক প্রভীন দন্তি বলেন, “আসামের রাজনীতিকে দীর্ঘদিন ধরে চালিত করে আসা জাতিগত জাতীয়তাবাদ বিজেপির ধর্মীয়
ভারতের এই পদক্ষেপ মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ দমন-পীড়নের একটি অংশ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এ ঘটনা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে আসামের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে।
-এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...