ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
‘জয়েন্ট সি-২০২৫’ শীর্ষক এই মহড়াটি আগামী তিন দিনব্যাপী চলবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার পাশাপাশি মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক ব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষার বার্তা দিচ্ছে বেইজিং ও মস্কো।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দরের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় মহড়ার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে চীনের গাইডেড-ক্ষেপণাস্ত্রধারী ধ্বংসকারী জাহাজ ‘শাওক্সিং’ ও ‘উরুমকি’-সহ মোট চারটি যুদ্ধজাহাজ এবং রাশিয়ার একাধিক নৌযান।
মহড়ার আওতায় সাবমেরিন উদ্ধার অভিযান, যৌথ সাবমেরিন-বিধ্বংসী কার্যক্রম, বিমান প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ এবং সামুদ্রিক যুদ্ধ পরিস্থিতির অনুশীলন পরিচালিত হচ্ছে। মহড়া শেষে চীন ও রাশিয়ার নৌবাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরের প্রাসঙ্গিক জলসীমায় যৌথ টহলও পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে।
দুই দেশের মধ্যে ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বার্ষিক ‘জয়েন্ট সি’ মহড়ার মাধ্যমে সামরিক সহযোগিতা ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে। গত বছরের অনুশীলন হয়েছিল চীনের দক্ষিণ উপকূলে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চলতি বছরের মহড়ার মূল লক্ষ্য হলো—"দুই দেশের বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করা এবং যৌথ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার উন্নয়ন।"
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে মস্কো ও বেইজিংয়ের রাজনৈতিক ও সামরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। এই মহড়া সেই সম্পর্কেরই সাম্প্রতিক প্রতিফলন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা বিশ্বাস করে, বেইজিং বিভিন্ন উপায়ে মস্কোকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। কারণ, চীন এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেনি কিংবা সৈন্য প্রত্যাহারেরও কোনো আহ্বান জানায়নি।
তবে চীন নিজেদেরকে একটি ‘নিরপেক্ষ পক্ষ’ হিসেবে উপস্থাপন করে চলেছে এবং বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি, পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করার জন্য দায়ী করছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...