বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ছেন ক্ষোভ।তাদের অভিযোগ বিজয় ভোজের নামে শিক্ষার্থীদের সাথে এক প্রকার প্রতারণা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক শিক্ষার্থী একটা ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে দেখা যায় খাবার হিসেবে যে মাংস দেওয়া হয়েছে তা কাঁচা রয়ে গেছে।
আর এক শিক্ষার্থী অর্ধ কাঁচা মাংসের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,"আজকে ৫ ই আগস্ট দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর দিনে খাবারের নামে আমাদের সাথে প্রহসন করা হলো। প্রত্যেক শিক্ষার্থী থেকে ৫০ টাকা করে নিয়ে অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেয়া হয়েছে। খাবারের পোলাও কিংবা মুরগি কোনোটিতেই স্বাদ ছিলো না। এর মধ্যে আবার মুরগি ঠিকমতো রান্না করা হয় নাই। কাঁচা, রক্ত মেশানো খাবার দেয়া হয়েছে।
অন্য এক শিক্ষার্থী খাবারের ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে খাবারের মধ্যে মৃত ফড়িং দেখা গেছে।পোস্ট কারী ঐ শিক্ষার্থী লিখেছেন,"খাবারে পোকা, প্রশাসন কিভাবে হুমাহুম এর মতো একটা নিম্নমানের রেস্টুরেন্টে থেকে খাবার অর্ডার করতে পারে?"
আর এক শিক্ষার্থী তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন,"৫০ টাকা এন্ট্রি ফি নিয়ে এই 3rd Class বিরিয়ানি দেয়ার দরকার ছিল না। ভার্সিটির ফেস্টে এই রকম খাবার মানায় না।কেউ তো খাবারের জন্য আন্দোলন করে নাই। তাহলে এই খাবার দেয়ার দরকার কী ছিল?আজকে বন্ধের দিনে অনেকেই এই খাবারের উপলক্ষ্যে দূর থেকে ক্যাম্পাসে গেছে।
এই খাবারের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা: যাবতীয় খরচের একটা হিসাব শিক্ষার্থীদের দিয়েন। এইরকম খাবার পারসেল নিতে কত টাকা খরচ হয়; তা শিক্ষার্থীরা জানে।"
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঐক্য ও বিজয় ফিস্ট বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের বিজয় ভোজের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। খাবারের জন্য বরিশালের সবচেয়ে ভালো দুটি রেস্টুরেন্ট বাছাই করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। একটি রেস্টুরেন্টের পক্ষে এতগুলো খাবারের প্যাকেট সরবরাহ করা সম্ভব নয়, তাই আমরা দুটি রেস্টুরেন্টে অর্ডার দিয়েছি। খাবারের অর্ডার দেওয়ার আগে আমরা খাবার যাচাই করে দেখেছি, কিন্তু এতগুলো খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু কিছু প্যাকেটে সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, তবে রেস্টুরেন্ট থেকে সরবরাহের সময় মানের দিক থেকে কিছুটা অসুবিধা হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু এতগুলো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক।”
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, "আমি খাবারের সময় বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছি, তারা খাবারের মান ভালো বলে জানিয়েছে। তবুও এধরনের অভিযোগের বিষয়ে আমি দেখব।
-মোঃআশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...