Logo Logo

অজু শেষে কোনো অঙ্গ শুকনো থাকার সন্দেহ হলে করণীয়


Splash Image

ছবি : সংগৃহিত

নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের জন্য অজু করা জরুরি। এই ইবাদতগুলো অজু ছাড়া আদায় করা সম্ভব নয়। অজুর গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামাজ, আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪)


বিজ্ঞাপন


অন্য হাদিসে নুআইম মুজমির (রহ.) বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। অতঃপর তিনি অজু করে বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হবে, যে অজুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৩৬)

অজুতে হাত, চেহারা, মুখ, পা ধুতে হয়। নির্দিষ্ট নিয়মে এই অঙ্গগুলো তিনবার করে ধোয়া সুন্নত। কখনো যদি অজু শেষ করার পর অজুর কোনো অঙ্গ শুকনো থাকার সন্দেহ হয়, তাহলে করণীয় কী? যেমন এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একজন প্রশ্ন করেছেন—

আমার সন্দেহের রোগ আছে। অজু শেষ করার পর পরই মনে হয় যেন মাথা মাসাহ করিনি। এই সন্দেহ হওয়ার কারণে পুনরায় মাথা মাসাহ করি। তাছাড়া কোনোক্রমেই স্বস্তি পাই না। আমি জানতে চাই, এক্ষেত্রে আমার করণীয় কী এবং এই সন্দেহের রোগ দূর করার উপায় কী?

এ ক্ষেত্রে আলেমদের পরামর্শ হলো— আপনার কর্তব্য, অজু করার সময় মনোযোগ সহকারে অজু করা। অজু শেষ হওয়ার পরে মাথা মাসাহ না করার ব্যাপারে যতই সন্দেহ হোক সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ না করা এবং কখনো সন্দেহের ভিত্তিতে পুনরায় মাথা মাসাহও না করা। এই সন্দেহ নিশ্চয়ই শয়তানের পক্ষ থেকে ওয়াসওয়াসা। কিছুদিন এভাবে করলে ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...