Logo Logo

গাজা নিয়ে শায়েখ জামসেদ মজুমদার,

“চোখের সামনে একটা দেশ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হচ্ছে”


Splash Image

ছবি : শায়েখের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামছেই না। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে পুরো শহর। সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায়ই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক মানুষ।


বিজ্ঞাপন


নারী-শিশুসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছেন অব্যাহত গোলাবর্ষণে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন শায়েখ জামসেদ মজুমদার।

শায়েখ জামসেদ মজুমদার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—
চোখের সামনে একটা দেশ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হচ্ছে। চোখের সামনে শত, হাজার, নিষ্পাপ প্রাণ শহীদ হচ্ছে। তবুও নাকি এই পৃথিবীতে কোন সভ্য জাতি, সভ্য মানুষ, সভ্য সরকার ও দেশ আছে!

ইয়া আল্লাহ তুমি যথেষ্ট হও মজলুমদের জন্য, তুমি ক্ষমা করো আমাদের অপারগতা ও দুর্বলতা, তুমি তৌফিক দাও ন্যায়ের সঙ্গী হওয়ার যে কোনো মূল্যে, যেকোনো সময়, যা তুমি সমর্থ্য দিয়েছো পুরোটুকু দিয়ে।

এই স্ট্যাটাসে তিনি গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং বিশ্বশক্তিগুলোর নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির বাসিন্দাদের দক্ষিণে খান ইউনুসে সরে যেতে বলেছে। সেখানে নতুন করে “মানবিক এলাকা” ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে হামলা অব্যাহত থাকায় মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।

অবরোধ ও হামলায় গাজা এখন কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে নেই ওষুধ, বিদ্যুৎ কিংবা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে অসংখ্য পরিবার, আর উদ্ধারকাজ চলছে ধীর গতিতে।

সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খাদ্য সংকটকে ঘিরে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মারাত্মক ক্ষুধা ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবি জানালেও কার্যকর কোনো সমাধান মিলছে না। প্রতিদিনের প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ এখন পুরো বিশ্বের সামনে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের ছবি তুলে ধরছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...