বিজ্ঞাপন
ডা. সানি দুর্গাপুর পৌরসভার মোক্তারপাড়া নিবাসী, পৌর বিএনপির কারানির্যাতিত নেতা আলহাজ্ব আব্দুস সালাম ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী হালিমা খাতুন দম্পত্তির কনিষ্ঠ সন্তান।
শিক্ষাজীবনের শুরু খালিশাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে ভর্তি হন এম.কে.সি.এম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। অষ্টম শ্রেণিতে আবারও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি এবং এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন প্লাসসহ অসংখ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে সুসং সরকারি কলেজে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।
পরবর্তীতে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এফসিপিএস (পার্ট-১) সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে এফসিপিএস (পার্ট-২) এ অধ্যয়নরত।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তথ্য অনুযায়ী, এবার ৩,০০০ শূন্য পদ পূরণের জন্য এই বিশেষ বিসিএস অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ২,৭০০ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০টি পদ ছিল। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫,২০৬ জন প্রার্থী—যার মধ্যে ৪,৬৯৫ জন সহকারী সার্জন ও ৫১১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৩,১২০ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ডা. মিজানুর রহমান সানি অন্যতম।
ফল প্রকাশের পর থেকে সানির পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকেও তাঁর জন্মস্থান খালিশাপাড়া গ্রাম ও দুর্গাপুর শহরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ কলামিস্ট ও অ্যাক্টিভিস্ট কাজী আশফিক রাসেল বলেন— “আমাদের দুর্গাপুরে এতদিন মেডিসিন ও হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ কোনো ডাক্তার ছিল না। ডা. মিজানুর রহমান সানির মাধ্যমে দুর্গাপুরের সেই শূন্যতা পূরণ হলো। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর মাধ্যমে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবে।”
এ ব্যপারে ডা. মিজানুর রহমান সানি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং পরিবার-শিক্ষক-বন্ধুদের দোয়া-ভালোবাসায় আজকের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমি চাই আমার জ্ঞান ও সামর্থ্য দিয়ে মানুষের সেবা করতে এবং দুর্গাপুরসহ দেশের সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...