Logo Logo

জনগণের ক্ষোভে লাঞ্ছিত ক্ষমতাবানরা : নতুন বৈশ্বিক ট্রেন্ড


Splash Image

বিশ্বজুড়ে এখন নতুন এক ট্রেন্ড স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে। আর তা হলো—ক্ষমতার দম্ভে থাকা ব্যক্তিদের জনগণের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে ক্ষমতা হারানো। আগে রাষ্ট্রপ্রধান, আমলা বা শাসকগোষ্ঠী যতই অন্যায়-অবিচার করুক, তারা দীর্ঘদিন নিরাপদে গদিতে বসে থাকত। কিন্তু বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি আমূল বদলে গেছে।


বিজ্ঞাপন


পৃথিবীতে আজকের দিনে এক নতুন ধরনের ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে—যেখানে ক্ষমতার দম্ভ, অন্যায়-অবিচার কিংবা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা আর আগের মতো চাপা পড়ে থাকছে না। আগে রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী কিংবা শাসকগোষ্ঠী নানা অনিয়ম-আকাম কুকাম করেও নিরাপদে গদিতে বসে থাকত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন ঘটছে, তেমনি বাংলাদেশ ও নেপালের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীও প্রমাণ করছে যে জনগণ আর চুপ করে বসে নেই। বিশেষ করে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্ম যখন মাঠে নেমে আসে, তখন তাদের প্রতিবাদ হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। যারা একসময় গায়ের জোরে, দাপটে, কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্র চালাত, তারাই আজ জনগণের ক্ষোভের মুখে লাঞ্চিত হচ্ছে। রাস্তায় আমলাদের চেপে ধরা হচ্ছে, মন্ত্রীদের ঘেরাও করা হচ্ছে, এমনকি অনেককে মার ক্ষেতে হচ্ছে ও আত্মগোপনে যেতে হচ্ছে। ক্ষমতার মসনদ ছেড়ে কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালাতেও বাধ্য হচ্ছে।

এই নতুন ট্রেন্ড আসলে এক ধরনের “জনগণের জাগরণ”। যেখানে ক্ষমতাবানরা বুঝতে পারছে—কোনো অন্যায় বা দমননীতি দীর্ঘস্থায়ী নয়। কারণ জনগণ যখন এক হয়ে যায়, তখন তাদের রোষের মুখ থেকে বাঁচা মুশকিল। বাংলাদেশে যেমন ন্যায়ের দাবিতে আন্দোলনে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছিল, নেপালেও একইভাবে জনতার ক্রোধে তটস্থ হয়ে পড়েছে শাসকশ্রেণি। এবং উক্ত দেশের রাস্ট্রপ্রধানরা দেশের সামরিক বাহিনীর প্রটেকশন নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আহ কি লজ্জা।

এ যেন নতুন এক বার্তা দিচ্ছে পৃথিবীকে—ক্ষমতা জনগণের, রাষ্ট্র জনগণের। যারা ক্ষমতার অহংকারে মত্ত হয়ে জনগণের অধিকার হরণ করে, তাদের শেষ পরিণতি আর আগের মতো “অক্ষত” থেকে যায় না। জনগণের ঘৃণা ও প্রতিরোধের মুখে এখন আর কোনো রক্ষাকবচ কাজ করছে না।

অতএব বলা যায়, এ সময়ের এই বৈশ্বিক ট্রেন্ড আমাদের শিক্ষা দেয় যে অন্যায়, দুর্নীতি, অবিচার আর দমননীতি দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা যায় না। যারাই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন ভবিষ্যতে, তাদের সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে যে, জনগণই সর্বশেষ শক্তি, আর জনগণের কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।

-এ কে আজাদ

সিলেট।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...