Logo Logo

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস, দিনটি পালনের উদ্দেশ্য কী


Splash Image

প্রতিবছর ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব বাঁশ দিবস। বহুমুখী এই উদ্ভিদের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতে ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ৮ম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেসে ‘বিশ্ব বাঁশ সংস্থা’ দিবসটির সূচনা করে। তারপর থেকে এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা দেশে দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


হাজার হাজার বছর ধরে বাঁশ মানুষের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে আছে। বাসস্থান নির্মাণ, কারুশিল্প, খাদ্য ও ঔষধ—সব ক্ষেত্রেই বাঁশ অপরিহার্য। এর বহুমুখী ব্যবহার আজও বিভিন্ন সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করছে।

২০২৫ সালের বিশ্ব বাঁশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরবর্তী প্রজন্মের বাঁশ: সমাধান, উদ্ভাবন এবং নকশা’। আধুনিক স্থাপত্য, টেকসই পণ্য নকশা, পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিংসহ নানা উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে বাঁশের বিস্তৃত ব্যবহারকে উৎসাহিত করাই এ প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাঁশের সম্ভাবনা বিশাল।

বাঁশের দ্রুত বৃদ্ধি এবং সহজে নতুন করে জন্মানোর ক্ষমতা এটিকে নবায়নযোগ্য সম্পদ হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এটি মাটির ক্ষয়রোধ করে, ক্ষয়প্রাপ্ত জমি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং কার্বন ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এটি কার্যকর সমাধান হিসেবে বিবেচিত।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বাঁশের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। কারুশিল্প, আসবাবপত্র, ক্ষুদ্র শিল্প, প্যাকেজিংসহ নানা খাতে বাঁশ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে এটি বহু পরিবারকে স্বাবলম্বী করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশ রক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে নিতে বাঁশ হতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের অন্যতম টেকসই সমাধান।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...