Logo Logo

মার্কিন এইচ-১বি ভিসা কী? জানুন বিস্তারিত


Splash Image

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক সময়ে তার প্রশাসনের শুল্কনীতি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলে। সবশেষ যুক্ত হয়েছে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে নতুন ফি আরোপের ঘোষণা, যা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে আগ্রহী বিদেশি পেশাজীবীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।


বিজ্ঞাপন


গত ১৯ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, নতুন করে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদনকারীদের ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। ঘোষণার পর দেশ-বিদেশে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। অনেকে ধারণা করেন, এ ফি হয়তো বর্তমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

তবে হোয়াইট হাউস দ্রুতই বিষয়টি পরিষ্কার করে জানায়, এই ফি এককালীন এবং শুধুমাত্র নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, যাদের কাছে ইতোমধ্যেই এইচ-১বি ভিসা আছে বা যারা নবায়নের জন্য আবেদন করবেন, তাদের কোনো অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না। তিনি আরও বলেন, “এটি বার্ষিক ফি নয়। পরবর্তী লটারি সাইকেলে যারা নতুনভাবে আবেদন করবেন, কেবল তাদের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।”

প্রাথমিক ঘোষণার পর গুঞ্জন ওঠে যে, এইচ-১বি ভিসাধারীরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যান, তাহলে দেশে ফিরতে তাদের ১ লাখ ডলার ফি গুনতে হবে। এতে অনেকের চাকরি ও বসবাস নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের স্পষ্টীকরণের পর সেই আশঙ্কা দূর হয়েছে।

উল্লেখ্য, এইচ-১বি এক ধরনের অ-অভিবাসী ভিসা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর হয়ে সাময়িকভাবে কাজ করতে পারেন। সাধারণত এই ভিসার প্রাথমিক মেয়াদ তিন বছর, যা সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এই সময়ে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করাও সম্ভব।

তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসায় কর্মরতদের মধ্যে প্রায় ৭১ শতাংশ ভারতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক চীনা নাগরিক। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়মে, যদি কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান এইচ-২বি ভিসায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে, তবে ছয় বছরের মেয়াদে বার্ষিক ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা অনুসারে, ২১ সেপ্টেম্বরের পর যারা নতুন করে এইচ-১বি ভিসার আবেদন করবেন, কেবল তাদের জন্যই এই ফি বাধ্যতামূলক হবে। এর আগে যাদের আবেদন সম্পন্ন হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে অনেকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার পথে এটি নতুন বাধা তৈরি করতে পারে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...