বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি লিখেছেন, “আমরা যেকোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্টযুক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ১০০ শতাংশ ট্যারিফ (শুল্ক) আরোপ করব।” তবে এর থেকে বাঁচার একটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি। যদি কোনো কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু করে, অর্থাৎ ‘জমিতে খননকাজ শুরু হয়’ বা ‘নির্মাণকাজ চলমান থাকে’, তবে তাদের এই বিপুল পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে না।
এই ঘোষণার ফলে সবচেয়ে বড় চাপে পড়তে যাচ্ছে ভারত, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওষুধ শিল্পের জন্য একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। ভারতের ফার্মাসিউটিক্যালস এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের মোট ২৭.৯ বিলিয়ন ডলারের ওষুধ রপ্তানির মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (৩১ শতাংশ), অর্থাৎ ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্যই যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর উৎপাদন ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাবে, যা তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমিয়ে দেবে।
এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের বহুল সমালোচিত সংরক্ষণবাদী শুল্কনীতিরই প্রতিফলন। তিনি দাবি করেছেন, এই উচ্চ শুল্ক আদায়ের মাধ্যমে সরকারের বাজেট ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে এবং ঔষধ শিল্প উৎসাহিত হবে। শুধু ওষুধ শিল্পই নয়, রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে ৫০ শতাংশ, আসবাবপত্রে ৩০ শতাংশ এবং ভারী ট্রাকে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথাও জানিয়েছেন তিনি। যদিও এর কোনো সুস্পষ্ট আইনি ব্যাখ্যা না দিয়ে তিনি এটিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ জন্য জরুরি বলে দাবি করেছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের এই ঘোষণা একটি বড় রাজনৈতিক চাল। এই নীতি বাস্তবায়িত হলে এটি ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বৈশ্বিক ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খলে সমতা তৈরি করবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...