Logo Logo

দাবি ইরানের

১২ দিনের যুদ্ধে ১৬ ইসরায়েলি পাইলট নিহত


Splash Image

মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি । ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সঙ্গে টানা ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মেজর জেনারেল সাফাভি বলেন, যুদ্ধের শুরুর দিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতা থাকলেও তা দ্রুত মেরামত ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তেহরান। তার ভাষায়, “প্রথম দুই থেকে তিন দিনে কিছু ঘাটতি ছিল, কিন্তু চতুর্থ দিন থেকেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যায়। শেষ পর্যায়ে এসে ইরান পূর্ণ আধিপত্য কায়েম করে।”

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, প্রায় ৬০ শতাংশ আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে ইরানকেই এ যুদ্ধে বিজয়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাফাভি জোর দিয়ে বলেন, “ইসরায়েল তাদের ঘোষিত কোনও লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি—না ইরানের ভেতরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে, না গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সামরিক ও পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে; বরং ইরান তার উদ্দেশ্য পূরণে সফল হয়েছে।”

তার দাবি অনুযায়ী, ইরান যুদ্ধের সময় শত্রুর কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালে হামলা চালায়, যা ইসরায়েলকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। অভিযানে ইসরায়েলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত হয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মেজর জেনারেল সাফাভি আরও জানান, অভিযানের সময় শত্রুপক্ষ ৬০০ থেকে ৬৪০টির বেশি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, ফলে ইসরায়েল বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে। যদিও ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা, রাডার সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানবাহিনীর কিছু ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে দ্রুত পুনর্গঠন ও নতুন কমান্ডার নিয়োগের মাধ্যমে সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান কেবল তার সামরিক ক্ষমতা পুনরুদ্ধারই করবে না, বরং আকাশ, মহাকাশসহ সবক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক শক্তি আরও বৃদ্ধি করবে। আবারও যদি শত্রুপক্ষ কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তেহরান আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তি নিয়ে জবাব দেবে।”

মেহের নিউজের তথ্যমতে, গত ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল, যা দ্রুত ১২ দিনের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। এ সময় অন্তত ১ হাজার ৬৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিকও ছিলেন।

যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী তেল আবিবের কৌশলগত স্থাপনায় এবং পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি কাতারের ‘আল-উদেইদ’ ঘাঁটিতে হামলা চালায়। শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...