বিজ্ঞাপন
ব্যাংকটি বলেছে, যদিও দেশের পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে, তবুও রাজনৈতিক পরিবর্তন প্রবৃদ্ধি ধীর করার প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে এডিবি জানিয়েছে, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, “বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনও দেখা যায়নি। তবে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়ে গেছে। উচ্চতর অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা অর্জনের জন্য এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অপরিহার্য। ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে। বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার ত্বরান্বিত করা জরুরি।”
এডিবি আরও জানিয়েছে, পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, অপর্যাপ্ত বাজার তথ্য, সরবরাহ শৃঙ্খলের সীমাবদ্ধতা এবং টাকার দুর্বলতার কারণে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯.৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে ১০ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে। ২০২৫ সালে জিডিপির সামান্য উদ্বৃত্ত ০.০৩ শতাংশে থাকবে, যা ২০২৪ সালের ১.৫ শতাংশ ঘাটতি থেকে উন্নত। এটি বাণিজ্য ব্যবধান সংকুচিত হওয়া এবং শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে সম্ভব হয়েছে।
২০২৬ অর্থবছরে ভোগ বৃদ্ধি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে থাকবে। শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং নির্বাচন-সম্পর্কিত ব্যয়ই মূল প্রভাব ফেলবে। তবে সংকোচনশীল আর্থিক ও রাজস্ব নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার কারণে বিনিয়োগ কমতে পারে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি এবং ইইউতে কঠোর প্রতিযোগিতা রপ্তানি ও প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলবে।
এডিবি একটি শীর্ষস্থানীয় বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করে। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকের ৬৯টি সদস্য দেশ রয়েছে। এডিবি জীবন রূপান্তরিত করতে, মানসম্পন্ন অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং গ্রাহককে সুরক্ষিত রাখতে উদ্ভাবনী আর্থিক সরঞ্জাম ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব ব্যবহার করে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...