বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আরএসএফ শহর দখলের সময় নির্বিচারে বেসামরিকদের ওপর হামলা চালায়। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কের তথ্যে জানা গেছে, শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করা নারী, শিশু ও সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে আরএসএফ বাহিনী গুলি চালায়। তাদের অনেককে শহরের বিভিন্ন স্থানে হত্যা করা হয়।
ইয়েলের হিউম্যানিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাব (এইচআরএল) প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে এল-ফাশার শহরে মানবদেহের আকারের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন বহু বস্তু এবং রক্তের দাগের মতো লালচে এলাকা শনাক্ত হয়েছে। বিশ্লেষকরা এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, এটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে পদ্ধতিগতভাবে নির্মূলের অংশ।
আল জাজিরার প্রতিনিধি হিব্বা মরগান খার্তুম থেকে জানান, আরএসএফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা পালানোর চেষ্টা করা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানান, কেবল একটি হাসপাতালেই ৪৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, আরএসএফ হাসপাতালের ভেতরে থাকা রোগী, স্বজন ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও হত্যা করেছে।
২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। টানা ১৭ মাস অবরোধের পর সেনাবাহিনীর দখলে থাকা দারফুর অঞ্চলের শেষ ঘাঁটি এল-ফাশারও দখলে নেয় আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ।
এদিকে, সৌদি আরব, মিশর, কাতার, তুরস্ক ও জর্ডানসহ একাধিক আরব দেশ আরএসএফের এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ও মানবিক সহায়তার পথ উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
সুদানের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আহমেদ ইব্রাহিম বলেন, “এই যুদ্ধ কেবল দুই জেনারেলের ক্ষমতার লড়াই নয়; এটি সুদানের সম্পদ দখল ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...