Logo Logo

প্রথম আলোর প্রতিবেদন

‘মব’ তৈরি করে মানুষ হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার ১.২৭%


Splash Image

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে মো. ইসরাফিল নামের এক ব্যক্তিকে মুঠোফোন ও টাকা চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনায় নিহতের ভাই আবিদ হোসেন মহম্মদপুর থানায় ২৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। যদিও কেউ গ্রেপ্তার হননি।


বিজ্ঞাপন


মহম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের গত ২৬ অক্টোবর বলেন, বিষয়টি জটিল ও স্পর্শকাতর। ওই ঘটনায় কারা জড়িত ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রথম আলো বিগত ১৩ মাসের ৪৬টি পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬৭ জনের মৃত্যুর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছে, মামলাগুলোতে আসামি গ্রেপ্তারের হার নগণ্য। ৪৬টির মধ্যে ৩৬টি ঘটনায় মামলা হয়েছে। ১০টি ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। যেসব ঘটনায় মামলা হয়েছে, তাতে আসামির সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি (অজ্ঞাতসহ)। এর মধ্যে ২৭টি মামলায় ১১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আসামি গ্রেপ্তারের হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ৬টি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম আলো তথ্য সংগ্রহ করে। পরে গত মাসের শেষ সপ্তাহে তথ্য হালনাগাদ করা হয়। ঢাকায় প্রথম আলোর তিনজন প্রতিবেদক এবং ২৬টি জেলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা এ কাজে যুক্ত ছিলেন। দেখা যায়, ৯টি মামলায় কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে একের পর এক মব ভায়োলেন্স বা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্ট থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতার শিকার হয়ে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশের আইন অনুযায়ী, অপরাধী হলেও ব্যক্তিকে মারধর বা পিটিয়ে হত্যার সুযোগ নেই। যাঁরা আইন হাতে তুলে নেবেন, তাঁরাও অপরাধী। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, পিটিয়ে মানুষ হত্যায় অনেক ক্ষেত্রে জড়িতদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা কম। সরকার মৌখিকভাবে কঠোর অবস্থান নিলেও মাঠপর্যায়ে তা ঠেকাতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত আগস্টে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের দুটি বড় ব্যর্থতা হচ্ছে মব-সন্ত্রাস ও ঢালাও মামলা। তিনি আরও বলেন, মব-সন্ত্রাস দমন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, পুলিশ মোরাল (নৈতিক অবস্থান) ছিল না। যে পুলিশ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিপক্ষ ছিল, সেই পুলিশ যখন দেখে গণ-অভ্যুত্থানের দাবিদার বলে কিছু মহল মব করছে, তখন সেটা দমন করতে পারেনি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণা অনুযায়ী, মব-সহিংসতার কারণে মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন হয়। ঘোষণার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালের অধীনে সবার সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ‘মব জাস্টিসের’ কথাটিও আলোচনায় এসেছিল। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এর মাধ্যমে কোনো ন্যায়বিচার হয় না। কারণ, এখানে সাক্ষী, বিচারক ও শাস্তিদাতা—সবকিছুর ভূমিকায় থাকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে সবাইকে আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটা অপরাধী হলেও।

আলোচিত ঘটনায় পুলিশ তৎপর

প্রথম আলোর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, মব-সহিংসতার যেসব ঘটনা আলোচনায় এসেছে, সেসব ঘটনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেশি ছিল। যে ঘটনায় আলোচনা নেই, সেই ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার বা তদন্তে অগ্রগতি কম।

যেমন গত ৯ আগস্ট রাতে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় ভ্যান চোর সন্দেহে রূপলাল রবিদাস ও প্রদীপ লাল নামের দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এই ঘটনায় হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় গত ২১ জানুয়ারি চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রুবেল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১০০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

অনালোচিত কোনো কোনো ঘটনায় মামলাও হয় না। কোনো কোনো পরিবার ভয়ে মামলা করতে চায় না। যেমন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবদুল কাদের মিলন (৩৫) নামের যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় (গত এপ্রিলে) পরিবার মামলা করেনি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফৌয়জুল আজিম সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করার জন্য আবদুল কাদেরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা রাজি হয়নি।

আবদুল কাদেরের স্ত্রী জোলেখা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, মামলা করলে নাম দিতে হবে। তখন তো শত্রু সৃষ্টি হবে।

হত্যার শিকার প্রতিবন্ধী, শিশু ও নারীরাও

প্রথম আলো যে ৬৭ জনের মৃত্যু বিশ্লেষণ করেছে, এর মধ্যে অন্তত ৪ জন রয়েছেন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং দুজন কিশোর। এর মধ্যে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক হলে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ তোফাজ্জল হোসেনকে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পেটানোর আগে তাঁকে পেট ভরে ভাত খাওয়ানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করে। ওই মামলায় ২১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় ছয়জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে গত ২১ আগস্ট চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে চোর সন্দেহে রিহান মাহিন (১৫) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তিন শিশুকে চোর অপবাদ দিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করা হয়। পরে চার ঘণ্টা আটকে রেখে তাদের পেটানো হয়। নির্যাতনে মাহিনের মৃত্যু হয়।

মাহিনের মা খদিজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে চোর নয়। মারধরের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাঁরা মাহিনকে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনি বলেন, ‘মাহিন একটু পানি চাইছিল, তারা পানি পর্যন্ত দিতে দেয় নাই।’

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে গত ৩ জুলাই সকালে ‘মব’ সৃষ্টি করে রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তাঁর ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকিকে (২৯) নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)। গণপিটুনির আগে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়।

হত্যার ঘটনায় ৪ জুলাই রাতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রোকসানা বেগম ওরফে রুবির বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। মামলা হওয়ার পর সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তবে প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহও এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

পুলিশ ও পিপি যা বলছেন

একের পর এক মব-সহিংসতায় দেশে এত মানুষের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খল জনতার হামলার ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, গুজব বা ভুল তথ্যের কারণে ঘটে থাকে। এসব ঘটনায় পুলিশ অনেক সময় অল্প সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। তবু পুলিশের উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপে বহু প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।

জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতার বিষয়ে শাহাদাত হোসাইন বলেন, গণপিটুনির ঘটনাগুলোতে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে। অনেক সময় জনতা হঠাৎ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বা প্রমাণ সংগ্রহ জটিল হয় বলে অপরাধীদের শনাক্ত করতে সময় লাগে। তবে কোনো ঘটনাই তদন্তের বাইরে নয়।

মব-সহিংসতার বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগের পতনের পর ক্ষোভ থেকে অনেক মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। সেই কারণে অনেকে অস্বাভাবিক আচরণ করেছেন। তবে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকার চেষ্টা করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অবশ্য মব-সহিংসতার পেছনে অনেক সময় পুরোনো দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যও থাকে। যেমন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গত ৪ মার্চ ছিনতাইকারী তকমা দিয়ে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এতে ওই দুজন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ইরানের এই দুই নাগরিক ছিনতাইকারী ছিলেন না। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী তকমা দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়।

ঢাকায় আলোচিত ঘটনা ছিল পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী লাল চাঁদ হত্যা। চলতি বছরের ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে তাঁকে হত্যা করে একদল লোক। তাঁকে পিটিয়ে, ইটপাথরের খণ্ড দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়।

পুলিশ বলছে, এই হত্যার ঘটনার পেছনে ছিল ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘বিচার না হলে অন্যায় চলতেই থাকে’

মানবাধিকারকর্মী ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মব-সহিংসতার ঘটনা দেশে সব সময় ঘটে। সাম্প্রতিক কালে বিশেষ পরিস্থিতি ও পুলিশি কার্যক্রমের দুর্বল অবস্থার মধ্যে এমন ঘটনা একের পর এক দেখা যাচ্ছে। অনেক ঘটনায় মামলা হয়েছে, আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, এটা ইতিবাচক। কিন্তু সব কটি ঘটনা ও মামলায় কী পরিস্থিতি, তা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা দরকার। তিনি বলেন, বিচার না হলে অন্যায় চলতেই থাকে। একটি উদাহরণ তৈরি করা দরকার যে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না, সেটা যেকোনো দল, গোষ্ঠী ও ধর্মের হোক না কেন।

সারা হোসেন মনে করেন, ভুক্তভোগীদের পরিবারকে পুনর্বাসনের দায়িত্বও রাষ্ট্রের।

রাষ্ট্রের অবশ্য দায়িত্ব নেওয়ার নজির পাওয়া যায়নি। রংপুরের তারাগঞ্জে রূপলাল রবিদাসকে হত্যার ঘটনায় তাঁর পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারায়। এরপর রূপলালের ছেলে কিশোর জয় রবিদাসকে পড়াশোনা ছেড়ে বাবার পেশায় জুতা সেলাইয়ের কাজে যোগ দিতে হয়। সে রংপুরের তারাগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন জয় রবিদাস ও তার ছোট বোন রুপার পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। তাদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমেও শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলো, পড়াশোনার ব্যবস্থা হলেও সংসার চালাতে জয় রবিদাসকে সপ্তাহে দুই দিন তারাগঞ্জ বাজারে জুতা সেলাইয়ের কাজ করতেই হচ্ছে।

জয় রবিদাস প্রথম আলোকে বলে, ‘উপায় নেই, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন বাবা। এখন মা, ঠাকুরমা আর দুই বোনকে নিয়ে সংসার চালাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...