Logo Logo

বিয়ে করলে ১ বছরেই মিলবে নাগরিকত্ব


Splash Image

বিয়ের মাধ্যমে ভিনদেশি নাগরিকত্ব লাভের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, কোনো বিদেশিকে বিয়ে করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই দেশের নাগরিকত্ব বা পাসপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের আইন অনুযায়ী বিয়ে করলেই তাৎক্ষণিক নাগরিকত্ব মেলে না।


বিজ্ঞাপন


কানাডা বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলোতে বিয়ে করার পর প্রথমে বসবাসের অনুমতি (রেসিডেন্সি) মেলে এবং এরপর অন্য সবার মতোই নির্দিষ্ট সময় বসবাসের পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হয়। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে; বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে স্থানীয় নাগরিককে বিয়ে করলে সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত ও সহজ শর্তে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল ও কলম্বিয়া এ ক্ষেত্রে বেশ উদার। পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য ব্রাজিলে কোনো স্থানীয় নাগরিককে বিয়ে করলে এবং দেশটিতে টানা এক বছর বসবাস করলেই দ্বিতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। ব্রাজিল দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে এবং এর পাসপোর্টে অনেক দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে। একইভাবে, কলম্বিয়ার কোনো নাগরিককে বিয়ে করলে স্বাভাবিক ৫ থেকে ১০ বছরের অপেক্ষার সময় কমে মাত্র দুই বছরে নেমে আসে। তবে এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে স্প্যানিশ ভাষায় দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। মেক্সিকোর ক্ষেত্রেও নিয়মটি অনেকটা একই রকম; সেখানে বিয়ের পর দুই বছর বসবাস করলেই শক্তিশালী মেক্সিকান পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়, যা দিয়ে ইউরোপের শেনজেন এলাকাসহ ১৫৩টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ সম্ভব।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের পথ সুগম করেছে। স্পেনে কোনো নাগরিককে বিয়ে করে মাত্র এক বছর ট্যাক্স রেসিডেন্সি মেইনটেইন করে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়, যদিও দেশটি সচরাচর দ্বৈত নাগরিকত্ব সমর্থন করে না। অন্যদিকে পর্তুগাল বেশ নমনীয়; সেখানে নাগরিককে বিয়ে করে বা তিন বছরের সম্পর্ক থাকলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। এমনকি আবেদনের সময় দেশটিতে বসবাসের বাধ্যবাধকতাও নেই, বিদেশ থেকেও আবেদন করা সম্ভব, তবে পর্তুগিজ ভাষা জানা আবশ্যক। আয়ারল্যান্ডে আইরিশ নাগরিককে বিয়ের তিন বছর এবং দেশটিতে এক বছর বসবাসের পর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। সুইজারল্যান্ডে সুইস জীবনসঙ্গীর সাথে পাঁচ বছর বৈবাহিক সম্পর্কের পর নাগরিকত্ব চাওয়া যায়, তবে ভাষা (জার্মান, ফরাসি বা ইতালীয়) জানা জরুরি। ইতালিতে স্থানীয় নাগরিককে বিয়ের পর দেশটিতে দুই বছর অথবা বিদেশে থাকলে তিন বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।

এছাড়াও ইংরেজিভাষী দেশ বেলিজও সহজ শর্তে নাগরিকত্ব দেয়। বেলিজের নাগরিককে বিয়ের পর সেখানে এক বছর বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। বেলিজের পাসপোর্ট দিয়ে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে সহজে ভ্রমণ করা সম্ভব। বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যবসায়িক সুবিধার্থে অনেকেই দ্বিতীয় পাসপোর্টের খোঁজ করেন। ‘নোম্যাড ক্যাপিটালিস্ট’-এর তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত দেশগুলো সেই সুযোগটিই সহজ করে দিয়েছে। তবে প্রতিটি দেশের অভিবাসন আইন পরিবর্তনশীল, তাই আবেদনের আগে সর্বশেষ নিয়ম জেনে নেওয়া জরুরি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...