Logo Logo

ইবিতে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে তথ্য লোপাট ও মারধরে অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার


Splash Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নেওয়া এবং তথ্য লোপাট ও মারধরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ৯ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে অবস্থানের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।

বহিষ্কৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, আফসানা পারভীন তিনা এবং রিয়াজ মোর্শেদ। তাদেরকে দুই সেমিস্টার মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও ৯ জন শিক্ষার্থীকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন:

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম, মিল্টন মিয়া (অয়াজিল), মশিউর রহমান, রাকিব হোসেন

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ দত্ত, মিনহাজুল আবেদীন, সাব্বির হোসেন, সৌরভ হোসেন সজীব

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফরিদুল আলম পান্না

ঘটনার সূত্রপাত ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্তঃসেশন খেলা চলাকালীন। ওই সময় ঘটনা ভিডিও করার চেষ্টা করলে তিন সাংবাদিককে মারধর করা হয় এবং এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা ফোনটি শিক্ষার্থীরা নিজেদের কাছে রাখে এবং সমস্ত ডকুমেন্ট মুছে ফেলে। পরে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে তারা।

ঘটনার তদন্তে ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিল্লাতুল করিমকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিটির সুপারিশের আলোকে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রবিউলের তলপেটে লাথি মারা, সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর মোবাইল রিসেট দেওয়া এবং সেটি মেডিকেল সেন্টারে ফেলে রাখার অভিযোগ রয়েছে। আফসানা পারভীন তিনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও উসকানিমূলক আচরণের অভিযোগ আছে। রিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে তার বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বরাতে প্রক্টর বরাবর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা এবং নাহিদকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নাহিদ হাসান ও রিয়াজ মোর্শেদের সংযুক্ত হল শহীদ আনাস হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের বলেন, “আমি বহিষ্কারের বিষয়টি বিভিন্ন মারফতে অবগত হয়েছি। তবে অফিসিয়াল চিঠি এখনো পাইনি। চিঠি পেলে তাদের হল ত্যাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের কোন সুযোগ নেই।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...