বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে আগেই খনিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে শ্রমিকরা ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর করে খনিতে ঢুকে পড়ে। বন্যার পানি ঠেকাতে সেখানে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক শ্রমিক হঠাৎ আতঙ্কে দৌড়ে সেতুটি পার হওয়ার চেষ্টা করলে তা ভেঙে পড়ে।
খনি খাত তদারকি সংস্থা এসএইএমএপি এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনাস্থলে সেনাদের গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেলে শ্রমিকরা আতঙ্কে ছুটে সেতুর দিকে ধাবিত হয়। অতিরিক্ত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে সেতুটি ধসে পড়ে এবং শ্রমিকরা একে অপরের ওপর পড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। প্রতিবেদনে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও সরকারি হিসেবে সংখ্যা এখনো ৩২।
কালান্ডো খনিটিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই বেপরোয়া খনিকর্মী, স্থানীয় সমবায় ও খনিটির বৈধ পরিচালনাকারীদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাদেশিক সমন্বয়ক আর্থার কাবুলো জানিয়েছেন, এই খনিতে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।
দুর্ঘটনার পর রোববার প্রাদেশিক প্রশাসন ঘটনাস্থলে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেনাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে স্বাধীন তদন্তের দাবি তুলেছে। তাদের অভিযোগ, খনিশ্রমিকদের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তবে সেনাবাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোবাল্ট উৎপাদনকারী দেশ। বৈদ্যুতিক গাড়ির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ব্যবহৃত এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজের প্রায় ৮০ শতাংশ উৎপাদনই চীনা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। কোবাল্ট খনিগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শিশু শ্রম, নিরাপত্তাহীন কর্মপরিবেশ ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতের মূল কেন্দ্রেও রয়েছে এই মূল্যবান খনিজ সম্পদ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...