বিজ্ঞাপন
ট্রাম্প বলেন, “তারা (ভারত ও পাকিস্তান) উভয়েই পারমাণবিক যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। এটি জানার পর আমি বললাম, ‘ঠিক আছে, আপনারা যুদ্ধ চালাতে পারেন; তবে ৩৫০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হবেন। আপনারা পরস্পরকে লক্ষ্য করে পারমাণু বোমা নিক্ষেপ করবেন, মানুষ মারা যাবে এবং আপনারা যে ধুলোবালি ছড়াবেন তা লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছাবে—এটি কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।’”
তিনি আরও বলেন, “যখন আমি তাদের শুল্কের হুমকি দেখালাম, তারা বলল, ‘আমরা এটা পছন্দ করছি না।’ আমি জবাবে বলেছি, ‘আপনারা পছন্দ করুন বা না করুন—আমার কিছু যায় আসে না।’ হুমকি প্রদানের কয়েকক্ষণ পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আমাকে ফোন করেন এবং সংঘাত থামাতে রাজি থাকার কথা জানান। এর কিছুক্ষণ পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও যোগাযোগ করেন এবং ভারতও সংঘাত থামানোর প্রস্তুতি জানায়।”
ট্রাম্পের এই দাবি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এসেছে। ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগাম উপজেলার বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। হামলার দায়ে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের একটি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়।
উত্তর প্রতিক্রিয়ায়, ৭ মে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান চালায়। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে পাকিস্তানের ১৩ সেনাসদস্যসহ ৫১ জন নিহত হন এবং ৭৮ জন আহত হন। এর পর, ১০ মে পাকিস্তান পাল্টা ‘বুনিয়ান উন মারসুস’ অভিযান চালায়, যাতে ভারতের ৫ সেনাসদস্য ও ১৬ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
এই উত্তেজনার মধ্যে, ১০ মে প্রথমবারের মতো ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও মেজর জেনারেল কাশিফ আবদুল্লাহ টেলিফোনে বৈঠক করেন। দুই দিন পর, ১২ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। পরে আরও দু’দফা দু’দিন করে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ এখনও যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধ প্রতিরোধ করেছেন। পাকিস্তানের সরকার তার দাবির সত্যতা স্বীকার করেছে, তবে ভারত এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...