Logo Logo

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র তাণ্ডব : বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৫৩


Splash Image

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’-এর প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ১৯১ জন। দেশের এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সরকার এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তা চেয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রোববার (৩০ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন।

শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (ডিএমসি) তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় অন্তত ২০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ডিএমসির মুখপাত্র প্রদীপ কডিপিল্লি জানান, বন্যায় সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হওয়া আরও ৭ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৩ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে কুরুনেগালা জেলার একটি প্লাবিত বৃদ্ধাশ্রমের ১১ জন বাসিন্দা, যারা শনিবার বিকেলে বন্যায় প্রাণ হারান।

উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী শনিবার অনুরাধাপুরা জেলায় আটকে পড়া ৬৯ বাসযাত্রীকে উদ্ধার করে, যার মধ্যে একজন জার্মান পর্যটকও ছিলেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রীদের এক জন, ডব্লিউ এম শান্থা, জানান—নৌবাহিনীর সদস্যরা রশি ব্যবহার করে বন্যার পানি পার করে তাদের নিকটবর্তী একটি বাড়ির ছাদে উঠতে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, “আমরা ভাগ্যবান ছিলাম। ছাদে উঠার পরপরই এর একটি অংশ ধসে পড়ে। তখন তিনজন নারী পানিতে পড়ে যান, কিন্তু নাবিকরা দ্রুত তাদের আবার ওপরে তুলতে সক্ষম হন।”

উদ্ধারের জন্য প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা করা হলেও পাখার বাতাসে ছাদটি উড়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কায় তা বাতিল করা হয়। পরে নৌবাহিনীর নৌকা ব্যবহার করে সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...