বিজ্ঞাপন
সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়—সব শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেছেন, যেখানে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছুটির সময় ৪টা ১৫ মিনিট।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তারা পূর্বঘোষিত কর্মবিরতিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে হাজিরা খাতায় সকাল ৯টায় স্বাক্ষর থাকলেও প্রস্থানের সময় উল্লেখ নেই, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রধান শিক্ষক ওই দিন বকশীগঞ্জে বাইরে থাকায় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি এবং একজন সহকারী শিক্ষক আন্দোলনে অংশ নিতে গেলে বিদ্যালয় কার্যত শিক্ষকবিহীন অবস্থায় পড়ে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমি কাউকে ছুটি দিতে বলিনি। কর্মবিরতি থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেওয়া উচিত নয়। কেন ছুটি দেওয়া হয়েছে, তা আমার জানা নেই।” অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকরা দাবি করেন, “প্রধান শিক্ষক ছুটি দিতে বলেছেন বলেই আমরা ছুটি দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা কর্মবিরতিতেও অংশ নিচ্ছি।”
শিক্ষকদের এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, “কর্মবিরতি থাকলেও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা, হাজিরা ব্যবস্থা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, “বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি দেওয়া, হাজিরা খাতায় অসঙ্গতি এবং শিক্ষকদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য—এসবই প্রশাসনিক শৃঙ্খলার ব্যত্যয়। কর্মবিরতি থাকলেও দায়িত্বে অবহেলা করা যাবে না। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...