বিজ্ঞাপন
যৌতুক, নির্যাতন ও হুমকির অভিযোগ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ের পর থেকে শাহরিয়ার তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের একাধিক ঘটনার পর স্ত্রী মামলা দায়ের করেন এবং দুই বছর আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা হওয়ার পর থেকেই শাহরিয়ার ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। দাম্পত্য জীবনে গোপনে ধারণ করা ব্যক্তিগত ছবি ও অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে হয়রানি ও মানসিক চাপে রাখা হতো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর “পিরোজপুর পরিজন” নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভুক্তভোগীর মুখমণ্ডল জুড়ে কুরুচিপূর্ণ থাম্বনেইল ও ব্যক্তিগত ছবি পোস্ট করা হয়। এরপর শাহরিয়ারের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি “Khan Sahariar” থেকেও একাধিকবার একই ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ ১ নভেম্বর ভুক্তভোগীর গোপন ছবি ও ভিডিও আবারও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যা তার সামাজিক মর্যাদাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
পূর্বেও ছিল একই আইনে মামলা এজাহারে দাবি করা হয়েছে, এটি শাহরিয়ারের প্রথম অপরাধ নয়। অতীতেও তিনি একাধিক নারীকে প্রতারণার মাধ্যমে গোপন ছবি–ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। ২০১৭ সালে পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (নং–৩২/৭০, তাং–১১-০২-২০১৭) দায়ের হয়েছিল।
গ্রেফতার ও তদন্ত চলছে পুলিশ জানিয়েছে, এজাহারে বর্ণিত অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং রাজনৈতিক মহলেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানানো হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...