বিজ্ঞাপন
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মারজুকার পরিবার ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত। বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকের দুই সন্তানের মধ্যে মারজুকা বড়। ছোটবেলা থেকেই সে অত্যন্ত মেধাবী ও ধীরস্থির স্বভাবের। কুয়াকাটার আলিপুর আল হুদা মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর নাজেরা শেষ করে সে হিফজ শুরু করে। অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র ১১ মাসের মাথায় সে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে এখন বর্তমানে একই মাদ্রাসায় শুনানি করছে।
মাদ্রাসার রুটিন অনুযায়ী, প্রতিদিন ভোরে সূর্য ওঠার আগেই শিক্ষার্থীদের তালিম শুরু হয়। তবে অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় মারজুকার পড়ার গতি ছিল ভিন্ন। তার অদম্য মেধার কারণে সে প্রতিদিন নির্ধারিত পড়ার বাইরেও অতিরিক্ত মুখস্থ পড়া (সবক) দিতে পারতো। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরে দশজন শিক্ষার্থীকে হাফেজা হিসেবে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে মারজুকা সবচেয়ে কনিষ্ঠ।
মারজুকার বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক মেয়ের সাফল্যে আবেগপ্লুত হয়ে বলেন, "মারজুকা ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী। আমার স্বপ্ন সে আগামী দিনগুলোতে ইসলামের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মাঝে দ্বীনি দাওয়াত ও কোরআনের আলো ছড়িয়ে দেবে।" শিশু মারজুকাও তার স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলে, সে ভবিষ্যতে একজন বড় আলেমা হতে চায়।
আল হুদা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক বশির আহমেদ আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করে বলেন, "আমার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মারজুকা আমাদের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী। তার মুখস্থ করার ক্ষমতা বিস্ময়কর। আমরা তার জন্য দোয়া করি, সে যেন বিশ্বজয়ী হাফেজা হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।" উপকূলীয় অঞ্চলের এই ক্ষুদে হাফেজা ভবিষ্যতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বীনি খেদমত করতে চায়; আর এই লক্ষ্যে সে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...