বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন দেশটির সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতি প্রধান ও বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক থেকে মুক্তি পেতেই এ চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি চুক্তির খসড়া বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ওই খসড়ার ওপর ঢাকা ইতোমধ্যেই মতামত জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটনকে।
এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উভয়পক্ষ দরকষাকষিতে বসে। আলোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ২৯ জুন রোববার আরও একটি বৈঠকের মাধ্যমে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই চুক্তির আওতায় বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব হতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। এতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আরোপিত হয় ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক। পরে ৯ এপ্রিল এই বাড়তি শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হবে ৮ জুলাই। যদিও এখনো পর্যন্ত সব দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর রয়েছে।
সরকারের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলছেন, সময়ের মধ্যে চুক্তিটি চূড়ান্ত করা গেলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পাবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...