বিজ্ঞাপন
জামালপুরের বকশীগঞ্জে উলফাতুননেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার (আলো) শিক্ষকের মানসিক চাপের কারণে গত ২৫ জুলাই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সাথী বর্তমানে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)-এ আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও সে এখনো কথা বলতে পারছে না।
বিষয়টি জানার পর সাথীর চাচা মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত চলমান থাকলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ সাথীকে প্রায়ই মানসিকভাবে চাপ দিতেন এবং তার অভিভাবকদের স্কুলে আসতে বলতেন।
সাথী আক্তারের পরিবার এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, গত বছর ৪ আগস্ট একটি কুইজ প্রতিযোগিতার পর সাথী এবং তার বান্ধবীরা মসজিদে নূরে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে সতর্ক করা হয়। এরপর থেকেই প্রধান শিক্ষক তাকে চাপ দিতে থাকেন এবং পরিবারকে বারবার স্কুলে আসতে বলেছিলেন।
ঘটনার দিন, ক্লাস চলাকালীন প্রধান শিক্ষক সাথীকে শাসন করেন এবং তাকে অভিভাবক আনতে না পারলে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এই চরম চাপের পর সাথী প্রথমে নিজের হাত কাটে এবং পরে ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, “এই ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে, বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এছাড়া, সাথীর সহপাঠীরা জানান, সাথী খেলাধুলায় ভালো ছিল এবং তিনি ময়মনসিংহ পর্যন্ত কাবাডি খেলেছেন। তবে তার আচমকা মানসিক অবস্থার পরিবর্তন তাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
-মোঃ আমিনুল ইসলাম, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...