ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের নির্লিপ্ততা, দায়িত্ব পালনে অনাগ্রহ ও পেশাদারিত্বের অভাবের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছরের ওপর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে টিআইবির ফেলো শাহজাদা এম আকরাম বলেন, “গত এক বছরে পুলিশ বাহিনীতে অভ্যন্তরীণ রদবদল ব্যাপক হারে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অব্যাহতি, পদোন্নতি, পদায়ন ও বদলি। কিন্তু মৌলিক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে বাহিনীর কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটেনি।”
তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে সারাদেশে ১২ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়, তবে এ নিয়ে বহু প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
আকরাম বলেন, “আন্দোলনে পুলিশের নেতিবাচক ভূমিকা তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের শাসন উপেক্ষা করে ‘মব জাস্টিস’ বা গণপিটুনির প্রবণতা বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব একে ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও এতে সমাজে অরাজকতা আরও গভীর হচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক চাপ বাড়লে গ্রেপ্তারের সংখ্যা হঠাৎ বাড়ে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করেই ঢালাওভাবে মামলায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকি কোনো পক্ষের প্রতি নমনীয় মনোভাব ও অপর পক্ষের ওপর কঠোর দমননীতিও লক্ষ্য করা গেছে।
আলোচনায় উঠে আসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে মৃত্যু ও গ্রেপ্তার বাণিজ্যের মতো গুরুতর অভিযোগ। এসব বিষয়ে সরকারের জবাবদিহিতার অভাব ও স্বচ্ছতার ঘাটতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে টিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ফেলো মো. জুলকারনাইন, ফারহানা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...