বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষার্থী জানান, তার বাবা একজন দিনমজুর। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগে চান্স পান। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে প্রাক্তন কলেজের অধ্যক্ষের আর্থিক সহায়তায় ভর্তি সম্পন্ন হয়। কিন্তু বরিশালে থেকে পড়াশোনার খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, “আমাদের আরও দুইটি ছোট সন্তান আছে। মেয়েকে বরিশালে রেখে পড়াতে গেলে ছোট সন্তানদের না খেয়ে থাকতে হবে।”
ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ অ্যাসোসিয়েশন (এমএসএ) সূত্রে জানা যায়, ১৪তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থীর অসহায়ত্বের কথা জানার পরপরই ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সহায়তার উদ্যোগ নেন। বিভাগের ১৩তম ব্যাচের পক্ষ থেকে চলতি মাসের বাসা ভাড়া, পড়ার টেবিল, তোশক, বাল্ব, মশারি, ফ্যান, বিছানার চাদরসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, “যতদিন না ওই শিক্ষার্থী হলে সিট পাচ্ছেন, ততদিন আমরা তার বাসা ভাড়া এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখব।”
এই উদ্যোগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীর পারস্পরিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
প্রতিবেদক - মোঃ আশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...