Logo Logo

ন্যায়বিচার সবার অধিকার”—ঈদে মিলাদুন্নবীতে প্রধান বিচারপতির বাণী

মহানবী (সা.) শিখিয়েছেন ন্যায়বিচার সবার অধিকার: প্রধান বিচারপতি


Splash Image

ঈদে মিলাদুন্নবীতে প্রধান বিচারপতি: বৈষম্য নয়, চাই সমতা ও ন্যায়বিচার। ছবি- সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ন্যায়বিচার কোনো ব্যক্তির জন্য সীমাবদ্ধ নয়; এটি সমগ্র মানবজাতির মৌলিক অধিকার। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন


প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, “মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানবতার মুক্তি, সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার যে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তিনি শিখিয়েছেন, ন্যায়বিচার কোনো ব্যক্তিবিশেষের জন্য সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা সমগ্র মানবজাতির মৌলিক অধিকার।”

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন মহানুভবতা, সহনশীলতা, সততা, নিষ্ঠা ও নানাবিধ মানবিক গুণে গুণান্বিত একজন মহামানব। তাঁর জীবন ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহসহ সকল শান্তিকামী মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক।

তিনি আরও বলেন, “মহানবী (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, বিচারকার্যে কোনো ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা, সম্পদ কিংবা ক্ষমতার প্রভাব বিবেচ্য নয়। সবার জন্য একই আইন এবং একই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারক ও আইন পেশাজীবীদের জন্য এ আদর্শ শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি নৈতিক অঙ্গীকারও।”

বাংলাদেশের বহুধর্ম ও বহুসাংস্কৃতিক সমাজের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “মদিনার সনদের মাধ্যমে মহানবী (সা.) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। এ শিক্ষা আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্যের চর্চার মাধ্যমেই একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “এই পবিত্র দিনে আমার আহ্বান থাকবে—আমরা যেন মহানবী (সা.)-এর মানবতামূলক শিক্ষা ও ন্যায়বিচারের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করি। বৈষম্য, অন্যায় ও বিদ্বেষ বর্জন করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...