বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ড. ইউনূস যে নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, নেদারল্যান্ডসের রানি মাক্সিমা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস, চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং উরুগুয়ের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদানের পর ড. ইউনূস অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
ড. ইউনূস দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতির আশা প্রকাশ করেন।
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে জানান, তার নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই বাংলাদেশি অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে (২১ ফেব্রুয়ারি) একটি স্মরণানুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতাও স্মৃতিচারণ করেন।
পরে ড. ইউনূস নেদারল্যান্ডসের রানি মাক্সিমার সঙ্গে বৈঠক করেন। রানি মাক্সিমা জাতিসংঘ মহাসচিবের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের বিশেষ অ্যাডভোকেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আলোচনায় বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ অঞ্চলে স্বাস্থ্য বীমা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এ সময় তারা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করতে জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা, দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় এবং পেনশন স্কিমের মতো উদ্ভাবনী আর্থিক কাঠামোর সম্ভাবনা খুঁজে দেখেন। ড. ইউনূস মাতৃস্বাস্থ্য সেবার জন্য গর্ভাবস্থায় ঋণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং গ্রামীণ নারীদের শীর্ষ চিকিৎসা পেশাদারদের সঙ্গে যুক্ত করতে ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তাব দেন। তিনি বৈশ্বিক ওষুধ শিল্পের পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সামাজিক ব্যবসায়িক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উৎপাদিত টিকা সাশ্রয়ী মূল্যের থাকবে।’
বৈঠকে নেদারল্যান্ডসের উত্তরাধিকারী রাজকুমারী ক্যাথারিনা-আমালিয়াও উপস্থিত ছিলেন। ড. ইউনূস রানি মাক্সিমাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়া ড. ইউনূস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুসের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেখানে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ইস্যু ও উভয়ের অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়।
একই দিনে ড. ইউনূস আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর একটি ছিল ‘ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ এবং অন্যটি ছিল সামাজিক উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি খাতের সহযোগিতা বিষয়ক আয়োজন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...