বিজ্ঞাপন
FPTP ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো ছোট দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী টিকে থাকতে পারে না। এছাড়া অনেক ভোট কার্যত “নষ্ট ভোট” হয়ে যায়, অর্থাৎ সেই ভোটগুলো নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলে না। এই ব্যবস্থায় দুই-দলীয় রাজনীতি শক্তিশালী হয় এবং রাজনৈতিক বৈচিত্র্য সীমিত থাকে। বড় দুই দল—আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—প্রধানত এই ব্যবস্থার সুবিধা ভোগ করছে।
অন্যদিকে, PR বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তিত হলে প্রতিটি দলের জাতীয় ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন বিতরণ করা হতো। উদাহরণস্বরূপ, আওয়ামী লীগ ভোট পেলে ৪০%, বিএনপি পেলে ৩৫% এবং ছোট দল ও অন্যান্যরা মিলিয়ে ২৫% ভোট পেলে, সংসদে আসনও প্রায় এই অনুপাতে বিতরণ হত। এই ব্যবস্থায় ছোট দলগুলো সংসদে টিকে থাকতে পারত, জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা বাড়ত এবং ভোটাররা তাদের প্রকৃত পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারত, ফলে “নষ্ট ভোটের” ভয় কমত।
FPTP এবং PR ব্যবস্থার সুবিধা ও অসুবিধা তুলনা করলে দেখা যায়, FPTP দ্রুত ফলাফল দেয় এবং সাধারণত একক দল সরকার গঠন হয়, ফলে কিছুটা স্থিতিশীলতা থাকে। তবে ছোট দল প্রায় হারিয়ে যায়, অনেক আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার জয়ী প্রার্থীকে চান না, এবং দুই-দলীয় রাজনীতি শক্তিশালী হয়। PR ব্যবস্থায় সবার ভোটের মূল্য থাকে, ছোট দল ও অঞ্চলভিত্তিক দল সংসদে আসন পায়, এবং জনমতের বৈচিত্র্য প্রতিফলিত হয়। তবে জোট সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন হতে পারে এবং সরকার বারবার অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার হলে ভোটের কার্যকারিতা ও রাজনৈতিক বৈচিত্র্য বাড়বে। তবে PR ব্যবস্থায় ছোট দলগুলো সংসদে টিকে থাকলেও সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জটিল হবে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা বাড়বে। বর্তমান FPTP ব্যবস্থা বড় দুই দলের স্বার্থে কাজ করছে, যা নতুন দল গড়ে ওঠাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...