বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাতিল হওয়া মনোনয়নের একটি ঢাকা বিভাগের। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থী হলেন ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রাপ্ত আব্দুল্লাহ ফুয়াদ রেদোয়ান। ফলে ঢাকা বিভাগ থেকে বাকি দুই প্রার্থী—আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম—বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
দুই রকম স্বাক্ষর থাকার অভিযোগে ফুয়াদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফুয়াদ বলেন, “যিনি স্বাক্ষর করেছিলেন তার ভোটার আইডি কার্ডের সাথেই তো মিল আছে। উনারা বলেছে যে কাউন্সিলর ফর্মের সাথে মিল নেই। আমি বলেছি যে এটা তো আসলে আচরণ বিধিতে দেননি। সরকার স্বীকৃত যে স্বাক্ষর সেটা থাকলে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। সেখানে তো নাম্বার দেওয়া ছিল, তার কাছে ফোন করলে জানতে পারতো যে তার স্বাক্ষর কি না। কালকে আপিল করব এবং যে সমর্থন করেছিল তার স্বাক্ষর থাকবে, তারপর আমার স্বাক্ষর। তারপরে যদি বাতিল করে আমি কোর্টে যাব। আমি নির্বাচন করার জন্যই তো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমি সারাজীবন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কারো সাথে আপোষ করিনি, সংগ্রাম করেই টিকে আছি, বাকি জীবনও তাই করব।”
বাকি দুইটি বাতিল মনোনয়নের মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এবং আরেকটি রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার আপত্তি ও আপিলের সময় নির্ধারিত রয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা চাইলে আবেদন করতে পারবেন। আপিলের পর শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগ) থেকে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল ২৫টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ৩ জন, চট্টগ্রাম ৫ জন, খুলনা ৩ জন, রাজশাহী ৪ জন, সিলেট ৩ জন, রংপুর ৬ জন এবং বরিশাল থেকে ১ জন মনোনয়ন নেন। ক্যাটাগরি-২ (ঢাকার ক্লাব) থেকে মনোনয়ন নেন ৩২ জন এবং ক্যাটাগরি-৩ থেকে মনোনয়ন নেন ৩ জন।
বিসিবি নির্বাচনের পরবর্তী ধাপের কার্যক্রম তফসিল অনুযায়ী এগিয়ে চলবে। আপিল শুনানি শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...